ক্ষয়ে যাচ্ছে সমুদ্রতট, নেপথ্যে জলবায়ু চক্রের ভোলবদল

ক্ষয়ে যাচ্ছে সমুদ্রতট, নেপথ্যে জলবায়ু চক্রের ভোলবদল

সিডনির নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের কথা শুনে মন ভাঙতে পারে সমুদ্রপ্রেমীদের। কয়েক লক্ষ স্যাটেলাইট আলোকচিত্র বিশ্লেষণ করে ওনারা ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল বরাবর। নেচার পত্রিকার জিওসায়েন্স বিভাগে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে দায়ী করা হয়েছে ‘এল-নিনো সাদার্ন অসিলেশান’ বা সংক্ষেপে এন্সো চক্রকে।
এন্সো সাইকেল বিষয়টা কী? জলবায়ুর একটা স্বাভাবিক ঘটনা। এতে প্রশান্ত মহাসাগর জুড়ে সমুদ্রের উপরিতলের তাপমাত্রায় অদলবদল ঘটে। উষ্ণ দশাটাকে এল নিনো বলে, আর লা নিনা হচ্ছে ঠাণ্ডা দশাটা। তাতে উপকূলরেখা বরাবর আবহাওয়ার চরিত্র বদলে যায়।
কিন্তু এন্সো চক্রের জন্যে যে সৈকতের ক্ষয় হতে পারে সেটা এতদিন বিজ্ঞানীদের জানা ছিল না। এই বিশেষ জলবায়ু চক্রের কারণে সমুদ্রতট থেকে বালি সরে যায়। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে উপকূলবর্তী ঘরবাড়ির জন্যে বিপদ নেমে আসে। এতদিন পর্যন্ত কয়েকটা মাত্র সমুদ্র সৈকতে এই ক্ষয় নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ওয়াটার রিসার্চ ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানী ডঃ মিচেল হার্লে এই সাম্প্রতিক গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, কয়েক দশক ধরেই বিজ্ঞানীরা এন্সো চক্রের কথা জানেন; কিন্তু কয়েকটা স্থানে এই চক্রের প্রভাব খুঁটিয়ে দেখা হয়েছিল এতদিনে। কিন্তু আমাদের গবেষণার পর বড়ো ছবিটা পরিষ্কার হল, আর অনুসন্ধানের দিকটাও ছিল একেবারে অভিনব।