চাঁদে যাচ্ছে পাঁচ রোবোট

চাঁদে যাচ্ছে পাঁচ রোবোট

মেক্সিকোতে তৈরি হয়েছে ক্ষুদ্র রোবট (tiny robots)। আর তারাই পাড়ি দেবে চাঁদে (moon)। বৈজ্ঞানিকভাবে চাঁদকে পর্যবেক্ষণ (scientific mission) করে গবেষণা চালাবে এই ক্ষুদ্র রোবটরা। প্রথমবার এমন অভিযান হতে চলেছে যেখানে ছোট ছোট রোবটরা চাঁদের মাটিতে পদার্পণ করে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাবে। জানা গিয়েছে, মেক্সিকোতে পাঁচটি ছোট ছোট রোবট তৈরি হয়েছে, যারা চলতি বছরের শেষে বা পরের বছর পাড়ি দেবে চাঁদে। মেক্সিকোতে ডিজাইন করা এবং তৈরি করা এই ক্ষুদ্র রোবটরা দু’টি চাকা লাগানো। তারা চাঁদের বুকে ঘুরে বেড়াবে এবং সেই সঙ্গে চন্দ্রপৃষ্ঠে পর্যবেক্ষণ চালাবে।
মেক্সিকোর ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটি (UNAM)- তে তৈরি করা হয়েছে এই ন্যানো রোবটগুলিকে। বলা হচ্ছে, এই ক্ষুদ্র রোবটগুলি একসঙ্গে মৌমাছির ঝাঁকের মতো করে কাজ করবে। মেক্সিকোর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বৈজ্ঞানিক একথা জানিয়েছেন রয়টার্সকে। প্রথমে অবশ্য এই রোবটগুলিকে মার্কিং সংস্থা অ্যাস্ট্রোবোটিক টেকনোলজি নির্মিত রকেটের সাহায্যে পৃথিবী থেকে চাঁদে পাঠানো হবে। আমাদের পৃথিবী থেকে যখন এই পাঁচটি রোবট প্রায় ৩,৮৬,০০০ কিলোমিটার সফর করে এগিয়ে যাবে বা দূরে সরে যাবে, তারপর থেকেই এরা একত্রে সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ শুরু করবে।
United Launch Alliance Vulcan রকেটের মাধ্যমে এই মিশন শুরু হবে। উৎক্ষেপণ করা হবে মহাকাশযান। প্রায় সবকিছুই প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। বিগত ৫০ বছরে এই প্রথম কোনও মার্কিন মহাকাশযান চাঁদের মাটি ছোঁবে। মেক্সিকোর ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটি (UNAM)- র অধ্যাপক এবং গবেষক Gustavo Medina Tanco, যিনি আবার Colmena প্রোজেক্টের পুরোধা, তিনি বলেছেন, এটি একটি ছোট অভিযান। আপাতত শুধু ধারণা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এরপর পরবর্তী মিশনে এই ধারণা সংযুক্ত করা হবে। প্রথমে চাঁদের ক্ষেত্রে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলবে। আর তার পরবর্তী সময়ে অন্যান্য অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণুতে পর্যবেক্ষণ চালানো হবে এই ক্ষুদ্র রোবটদের সাহায্যে।
ওই গবেষক আরও জানিয়েছেন যে, এই রোবটগুলি নির্মাণ করা হয়েছে স্টেনলেস স্টিল, টাইটানিয়াম অ্যালয় এবং স্পেস গ্রেড অ্যালুমিনিয়ামের সাহায্যে। এই রোবটগুলি চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে বিভিন্ন লুনার মিনারেল বা খনিজ সংগ্রহ করবে। হয়তো আগামী দিনে স্পেস মাইনিং- এর কাজে সাহায্য করবে এইসব সংগ্রহীত নমুনা। শোনা যাচ্ছে, জুন মাসে এই রোবটগুলিকে পাঠানো হবে চাঁদে। বিজ্ঞানীরা বারবারই বলছেন যে এর আগে কখনও কোথাও এমন অভিযান হয়নি।