চাক্ষুস করার ক্ষমতা ব্যক্তিবিশেষে ভিন্ন হতে পারে

চাক্ষুস করার ক্ষমতা ব্যক্তিবিশেষে ভিন্ন হতে পারে

কিছু কিছু ব্যক্তি রয়েছে যাদের চাক্ষুস করার দক্ষতা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি অর্থাৎ কেউ কেউ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অন্যদের তুলনায় চোখে দেখে বেশি তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। সুতরাং যে সব পরিস্থিতিতে তৎক্ষণাৎ প্রতিক্রিয়া দেখানো খুব গুরুত্বপূর্ণ যেমন বল খেলা বা প্রতিযোগিতামূলক খেলাধূলা, সে ক্ষেত্রে এই সহজাত ক্ষমতা খুব কার্যকর। আমরা চোখ দিয়ে আমাদের চারপাশের জগতকে উপলব্ধি করার হারকে বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় “টেম্পোরাল রেজোলিউশন” বলে। গবেষকদের মতে বিভিন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে এই টেম্পোরাল রেজোলিউশনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে, যার অর্থ কিছু মানুষ কার্যকরভাবে অন্যদের তুলনায় প্রতি সেকেন্ডে চোখের মাধ্যমে বেশি ছবি দেখে। এটি পরিমাপের জন্য, বিজ্ঞানীরা “ক্রিটিকাল ফ্লিকার ফিউশন থ্রেশহোল্ড” ব্যবহার করেছেন অর্থাৎ একজন ব্যক্তি একটি কম্পমান আলোর উৎসকে সর্বাধিক কত ঘন ঘন হলে তা উপলব্ধি বা পরিমাপ করতে পারে। যদি তা থ্রেশহোল্ড বা প্রান্তিক মানের বেশি হয় তবে তারা আলোকে স্থির হিসাবে দেখতে পায়। পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত কিছু অংশগ্রহণকারীর মতে তারা আলোকে সম্পূর্ণরূপে স্থির অবস্থায় দেখেছে যখন আলোটি প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩৫ বার কম্পমান ছিল, আবার কেউ প্রতি সেকেন্ডে ৬০ বার কম্পমান শিখা উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছিল। গবেষণাটি PLOS ONE জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে৷ গবেষণায় দেখা গেছে টেম্পোরাল রেজোলিউশনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকলেও বৈশিষ্ট্যটি সময়ের সাথে সাথে বেশ স্থিতিশীল। এবং পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে সময়ের সাথে সাথে বেশ কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। যদিও ভিজ্যুয়াল টেম্পোরাল রেজোলিউশনের এই বৈচিত্রটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে, তা অজানা তবে এই বৈশিষ্ট্য একজন ব্যক্তিকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কিছু ঘটনা বা জিনিস দ্রুত শনাক্ত বা ট্র্যাক করতে সাহায্য করতে পারে। সুতরাং যে সব ব্যক্তিদের টেম্পোরাল রেজোলিউশন অন্যদের তুলনায় বেশি তারা এর সুবিধা লাভ করতে সক্ষম।