দুর্যোগে ক্লান্ত জনতার উপর ঠিক কেমন প্রভাব ফেলবে জলবায়ু পরিবর্তন?

দুর্যোগে ক্লান্ত জনতার উপর ঠিক কেমন প্রভাব ফেলবে জলবায়ু পরিবর্তন?

২০২২/২৩ বর্ষের বসন্ত আর গ্রীষ্মে এটা নিয়ে বেশ কয়েকবার বন্যার কবলে অস্ট্রেলিয়া। এবার কালপ্রিট তিন নম্বর লা নিনা (এক প্রকারের বিশেষ আবহাওয়ার পরিস্থিতি)। ফলে, মনে করা হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় মানুষের সক্ষমতা বা সহ্যসীমা হয়তো কিছুটা বেড়েছে।
অস্টিন হেলথের এমারজেন্সি মেডিসিন রিসার্চের কর্ণধার অধ্যাপক জর্জ ব্রেটবার্গ দাবী তুলেছেন যেন নিখুঁতভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় জলবায়ুঘটিত যে কোনও আপদকালীন অবস্থা। তাতে প্রয়োজন মতো পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়া অথবা মোকাবিলা করার কাজটা সহজ হবে কিছুটা।
কসমস পত্রিকাকে প্রোফেসর ব্রেটবার্গ বললেন, নীতিনির্ধারণ করতে কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব যথাসম্ভব প্রশমিত করতে প্রথমেই ঠিক করতে হবে প্রাকৃতিক বিপদ ঠিক কাকে বলে অথবা এটার পরিধিই বা কদ্দুর। তিনি আরও জানাচ্ছেন, সারা পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন দেশের একটা সুস্পষ্ট সাধারণ মঞ্চ প্রয়োজন। তাতে বৈশ্বিক রীতিনীতি খতিয়ে দেখে একটা দৃঢ় সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাবে।
জলবায়ুর খামখেয়ালি আচরণকে সাধারণত পরিবেশের সমস্যা বলে গণ্য করে আসা হয়েছে। কিন্তু এই কয়েক দশক ব্যাপী বিপদের ফলে যে মানুষের স্বাস্থ্যের কাঠামো উল্লেখযোগ্য ভাবে পাল্টে যাচ্ছে সেটাকে এড়িয়ে যাওয়া একটা মস্ত ভুল। চাপ বাড়ছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপরেও। সময় যত এগোবে, ততই পরিষ্কার হবে জলবায়ু প্রভাবিত দুর্বিপাক আর মানুষের স্বাস্থ্যের নিবিড় যোগাযোগটা, এমনই মতামত ব্রেটবার্গের।