ধ্বংস হওয়ার পথে অ্যামেরিকার বিখ্যাত লবণহ্রদ

ধ্বংস হওয়ার পথে অ্যামেরিকার বিখ্যাত লবণহ্রদ

তড়িঘড়ি খুব বড়ো পদক্ষেপ না করলে বাস্তুতন্ত্র একেবারেই ভেঙে পড়বে ইউটার লবণহ্রদে। স্পষ্ট ঘোষণা পরিবেশ বিজ্ঞানীদের। প্রায় এক শতক ধরে ঐ হ্রদে নদীর জলের প্রাকৃতিক জোগান বন্ধ আছে মানুষের স্বার্থে।
২০১৭ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, প্রতি বছর কম করে ৩.৩ ট্রিলিয়ন লিটার নদীর জলের গতিপথ বদলে দেওয়া হয় মূলত পানীয় জল আর চাষবাসের জন্যে। ঐ নদীর জলেই পুষ্ট হত বিখ্যাত লবণহ্রদ এবং তার ব্যাপৃত বাস্তুতন্ত্র। তখন থেকেই ধীরে ধীরে ইউটা প্রদেশের ঐ হ্রদে তৈরি হচ্ছে মহাখরা। লবণহ্রদে স্বাদু জলের প্রবেশে ক্রমাগত বাধা সৃষ্টি করার পর দেখা যাচ্ছে ইদানিং হ্রদের জলস্তর সবচেয়ে কম। একটা রেকর্ড সেটা।
ইউটা ডিপার্টমেন্ট অফ ন্যাচারাল রিসোর্সের কার্যকরী প্রধান জোয়েল ফেরি বলছেন, এই ধরণের রেকর্ড কেই বা ভাঙতে চায়। জলের পরিমাণ যতই কমছে ঐ হ্রদে, ততই নুনের ঘনত্ব বাড়ছে। কোনও কোনও অংশে লবনাক্ততার হার শতকরা ২৬ ভাগও দেখেছেন গবেষকরা। যদিও হিসেবটা ১৫ শতাংশের আশেপাশে থাকাই বাঞ্ছনীয়।
সাথে যোগ হতে চলেছে ধুলো আর পারদ দূষণের জোড়া ফলা। হ্রদ যতই শুকনো হবে দিনে দিনে এমনই আশংকা করছেন বিজ্ঞানীরা। ক্যালিফোর্নিয়ার একটা হ্রদে একই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন ওনারা। ওটার ক্ষেত্রে আবার স্থানীয় বাসিন্দারা অ্যাজমা আর কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যায় ভুগতে শুরু করেছিলেন।