ভয়েজার আবার কথা বলছে

ভয়েজার আবার কথা বলছে

মঙ্গলালোক নয়, সৌরলোক চন্দ্রলোকও নয়, ‘ভয়েজার’ মানুষের পাঠানো নক্ষত্রলোকে বাস করছে এখন। ১৯৭৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার প্যাসাডেনার জেট প্রপালসন ল্যবেরোটারীর থেকে উড়তে শুরু করার দিন থেকে ভয়েজার-১ এবং তার জমজ ভাই ভয়েজার-২, গত প্রায় অর্ধশতক ধরে অনেক খবর, অনেক তথ্য দিয়ে যাচ্ছে আমাদের। ভয়েজার-১ এখন আছে সূর্যের কক্ষপথের বাইরে নক্ষত্রলোকে, যেখানে মধ্যাকর্ষণ নেই, নেই সূর্যের প্রবল তেজের ঝলকানি। ২০ হাজার কোটি কিলোমিটার দূরে আলো-আঁধারির প্লাজমা জগতে ঘুরছে, শুধু ঘুরে চলেছে। এর মধ্যে গত নভেম্বর মাস থেকে বিজ্ঞানীরা ভয়েজার-১ থেকে যেসব তথ্য পাচ্ছিলেন তার ভাব-অর্থ উদ্ধার করা যাচ্ছিল না। নাসার বিজ্ঞানীরা ভাবতে শুরু করেছিলেন যে ভয়েজার-১ বোধহয় তার কথা বলার ক্ষমতা হারাচ্ছে। আনন্দের কথা এটাই যে মানবতার মহাকাশফেরী ভয়েজার-১ আবার কথা বলছে। বৃহস্পতি, শনি ঘুরে ভয়েজার এখন পৃথিবী থেকে ২৪ হাজার কোটি কিলোমিটার দূরে। নাসার ভয়েজার প্রজেক্টের ম্যানেজার সুজান ডড জানিয়েছেন যে নভেম্বর ১, ২০২৩ থেকে যে শঙ্কার শুরু হয়েছিল, তা শেষ হয়েছে ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪। ভয়েজার-১-এর অনলাইন ডাটা রেকর্ডার-এর মর্মার্থ আবার বিজ্ঞানীরা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। এ যেন অগস্ত যাত্রার বিপরীতমুখী অনন্তযাত্রা। নক্ষত্রলোকফেরীর কথা।