মাটির ৬৬০ কিমি নীচে হীরে – উন্মোচিত অফুরান জলের ভাণ্ডার

মাটির ৬৬০ কিমি নীচে হীরে – উন্মোচিত অফুরান জলের ভাণ্ডার

দৃষ্টির বাইরে, গভীর ভূগর্ভে নানান আশ্চর্য মন্থনের মতো ঘাত প্রতিঘাত চলতে থাকে। মাঝেমধ্যে এই গোপন প্রকৃতির দু একটা প্রমাণ হাতে আসে বিজ্ঞানীদের। যেমন এবার পাতাল থেকে উঠে এলো ছোট্ট হীরে যার গায়ে বিরল খনিজ লেগে আছে। পৃথিবীর পেটের ভেতর কী কী চলছে তার হদিশ এই হীরের টুকরোটা দিতেই পারে।

বৎসোয়ানার এক হীরের খনি থেকে সম্প্রতি এক রহস্যময় হীরের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। রিঙ্গুডাইট, ফেরোপেরিক্লেস, এন্সট্যাটাইটের মতো আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য খনিজ পদার্থ ঐ উজ্জ্বল পাথরের গায়ে খাদ হিসেবে ছিল।

ভূগর্ভের এই সীমান্ত বেশ আর্দ্র হওয়ারই কথা, যেহেতু জলীয় অবস্থায় রিঙ্গুডাইট আবিষ্কৃত হল। এমনটাই মত খনিজ পদার্থবিদ টিংটিং জিউ-র। প্রোফেসর জিউ নিউ ইয়র্ক শহরের জেমোলজিকাল ইন্সটিটিউট আর পার্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত আছেন। উনি আর ওনার সহকর্মীরা ঐ আজব হীরে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে ওটার দুধের মতো আস্তরণের সাথে ১২টা খনিজ খুঁজে পেয়েছেন। মাইক্রো-রমন স্পেক্টোগ্রাফি আর এক্সরে ব্যতিচার ব্যবহার করে ঐ বিরল খনিজগুলোর প্রকৃতি খতিয়ে দেখছেন গবেষক দল।

রিঙ্গুডাইট হচ্ছে ম্যাগনেসিয়াম সিলিকেট, আর ফেরোপেরিক্লেসে থাকে ম্যাগনেসিয়াম বা আয়রন অক্সাইড। গবেষণাপত্রটা প্রকাশ পেল নেচার পত্রিকার জিওসায়েন্স বিভাগে। গবেষকরা বলছেন, মাটির নিচে ঐ স্তরে আগে এতও বড়ো জলের ভাণ্ডারের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। স্বভাবতই ভূবিজ্ঞানীরা যথেষ্ট উৎসাহিত হয়েছেন।