শুক্রেও প্রাণের অস্তিত্ব!

শুক্রেও প্রাণের অস্তিত্ব!

পৃথিবী ছাড়া আর কোন গ্রহে প্রাণ আছে তার খোঁজে বহুদিন চলছে মহাকাশবিজ্ঞানীদের অনুসন্ধান। সেই অনুসন্ধানে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা দেখতে পেলেন ফসফিন গ্যাসের সন্ধান। কোথায়? পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের গ্রহ, শুক্রে! অপ্রত্যাশিত ছিল জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের কাছে। তাই গেন গ্লেভসের মত জ্যোর্তিবিজ্ঞানী বলেই ফেলেছেন, “স্তম্ভিত করে দেওয়ার মত ঘটনা!” শুক্রে যে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হন নি জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা। কিন্তু ফসফিন গ্যাস পৃথিবীতে তৈরি হয়। সেখানে ব্যাকটিরিয়ার ভূমিকা থাকে। জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের আশা, তাহলে শুক্রেও অণুজীব রয়েছে হয়ত! রয়টার্সের দেওয়া খবর অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক গবেষকদের দল প্রথমে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল টেলিস্কোপে দেখতে পেয়েছিলেন ফসফিন গ্যাস। তারপর চিলির আতাকামা মরুভূমি থেকে রেডিও টেলিস্কোপে আবার ফসফিন গ্যাস দেখে গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন শুক্রে ফসফিন গ্যাস থাকাটা মিথ্যে নয়। নেচার অ্যাস্ট্রোনমি সাময়িকীতে এই আবিষ্কার নিয়ে একটা লেখা প্রকাশিত হয়। লিখেছিলেন গেন গ্লেভস।
ফসফিন গ্যাসের সৃষ্টি ফসফরাস ও হাইড্রোজেনের মিশ্রণ থেকে। পৃথিবীতে রসায়নাগারে এই গ্যাস তৈরি করা হয়। শুক্রে তো কোনও কারখানা নেই! তাহলে শুক্র গৃহপৃষ্ঠের ৫০ কিলোমিটার ওপরে মেঘের মধ্যে কীভাবে এল ফসফিন?
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির মলিকুলার পদার্থবিদ কার্লা সোস-সিলভা। আবিষ্কারের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনিও রোমাঞ্চিত! বলেছেন, “সবার আগে বলব যে প্রাণের খোঁজে আমরা এত বছর ধরে দিন রাত এক করছি সেই প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া গেল কী না। এটাই সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ। যদি সত্যি ফসফিন গ্যাস দেখা গিয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে এর পেছনেও প্রাণের অস্তিত্ব আছে।”
বিশাল এই সৌরজগৎ নিয়ে মানুষের আবিষ্কারের পরিধি নিয়ে আলোচনা করলে দেখা যাবে পৃথিবী এখনও নিঃসঙ্গ এক গ্রহ। এবার হয়ত জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা বলবেন, সেই নিঃসঙ্গতা অদূর ভবিষ্যতে কেটে যেতে পারে!