বজ্রনিরোধক ছাতা

বজ্রনিরোধক ছাতা

জলবায়ু বদলের ইঙ্গিতে ক্রান্তীয় অঞ্চলে যেমন দেখা যাচ্ছে টর্নেডোর মতো ঝড়, তেমনি বাড়ছে বাজ পড়ার ঘটনা। সবচেয়ে বিপজ্জনক হয় খোলা মাঠে। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ব্লকের ‘বাহাদুর শিক্ষা নিকেতনে’র ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শ্রেয়ক পন্ডা বানিয়ে ফেলেছে বজ্র নিরোধক আশ্চর্য এক ছাতা। সাধারণত ছাতার স্টিক গুলি থাকে নিচের দিকে। কিন্তু শ্রেয়কের তৈরি ১৫-২০ ফুট উচ্চতা যুক্ত ছাতায় স্টিক উর্দ্ধমুখী। তার সাথে রয়েছে ধাতব হাতল। হাতলটিকে পুঁতে রাখতে হবে মাটিতে। ফলে বাজ পড়লে বিদ্যুৎ উর্দ্ধমুখী স্টিকে আকৃষ্ট হয়ে ধাতব হাতল বাহিইত হয়ে মাটিতে যাবে৷ বাড়ির আর্থিং সিস্টেমের মতো। তবে এই ছাতা বর্ষাতি হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না৷ মূলত খোলা বিস্তৃত মাঠে চাষীদের কাজের সময় এ ছাতার ব্যাবহার উপযোগী হবে।
এক বর্ষার সকালে বাবার সাথে স্কুলে যাওয়ার সময় বাজ পড়ে পাশের পুকুরের পাড়ে। প্রসঙ্গত বাবা ঐ স্কুলেরই ইংরেজির শিক্ষক। পরে খবরে শ্রেয়ক জানে ঐ দিন বিহারে বাজ পড়ে ২০ জনের মৃত্যুর কথা। শিশু মনে দাগ কেটে যায় ঘটনাটি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রেয়ককে মডেলটি বানানোর কাজে সাহায্য করেছেন ।
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ন্যাশানাল কাউন্সিল ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র সহোযোগিতায় রাজ্য ‘সায়েন্স কমিউনিটি ফোরাম’ বিজ্ঞান মডেল তৈরির প্রতিযোগিতা ‘চিল্ড্রেন সায়েন্স কংগ্রেস ২০২০-২১’ আয়োজন করে। গত ২০ জানুয়ারি আন্তর্জালিক মাধ্যমে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই মডেলটি প্রদর্শন করে শ্রেয়ক। এই মডেলের জন্যে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ‘জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেস’ পুরস্কৃত করবে শ্রেয়ককে।