বাতাস দূষণের আসল নায়ক প্লাস্টিক!

বাতাস দূষণের আসল নায়ক প্লাস্টিক!

বিশ্ব উষ্ণায়নে বড় ভূমিকা নিয়েছে কার্বন-ডাই-অক্সাইড। তেল এবং কয়লা থেকে যে পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড বাতাসে মেশে তাকেই বিশ্ব জুড়ে আবহাওয়াবিদরা এবং অন্যান্য গবেষকরা বলছেন সবচেয়ে বেশি গ্রীনহাউস গ্যাস নিঃসরণ এবং তার ফলেই যত দূষণ বাতাসে আর পৃথিবীর গরম হয়ে যাওয়া।
কিন্তু সাম্প্রতিক একটি গবেষণা জানিয়ে দিল, কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো, পেট্রল, ডিজেলে চলা গাড়ি শিল্প থেকে বিশ্ব জুড়ে যে পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন হয় সেটা খুব তাড়াতাড়ি মেনে যাবে প্লাস্টিকের ব্যবহারে! এবং এই দশকের মধ্যেই সেই ঘটনা ঘটবে! বেনিংটন কলেজ এবং প্লাস্টিকমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া একটি সংস্থা যৌথভাবে গবেষণা করে জানিয়েছে মাটি থেকে তেল ও গ্যাস বার করা থেকে প্লাস্টিক পোড়ানো পর্যন্ত যা কার্বন নির্গত হয় তার পরিমাণ হিসেব করলে, প্লাস্টিক উৎপাদন এবং প্লাস্টিক বর্জ্য পোড়ানোর পর প্রত্যেক বছর পৃথিবীতে ২৩২ মিলিয়ন টন গ্রীনহাউস গ্যাস বাতাসে মেশে! গবেষকদের হিসেবে যা ১১৬টি কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণের সমান! গবেষণা আরও জানিয়েছে বিশ্বে ১৮টি সর্ববৃহৎ স্বল্প আয় এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমাজ আছে যারা এই ধরণের পেট্রোকেমিকাল শিল্পের ওপর নির্ভরশীল অথচ দূষণের ৯০ শতাংশের উদ্ভব ওই সমাজগুলো থেকে!
স্বাভাবিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্লাস্টিক শিল্পের মুখপাত্র জর্জ ও’কোনর মানতে চাননি যে, প্লাস্টিক উৎপাদনে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন বেশি হয় বলে। তার যুক্তি, প্লাস্টিকের ওজন কম এবং স্থায়িত্ব বেশি বলে না কি গ্যাস এবং কয়লার তুলনায় কার্বন ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণ কম প্লাস্টিকে!