মৃত্যুর এক ঘণ্টা পর অঙ্গ পুনরুজ্জীবিত

মৃত্যুর এক ঘণ্টা পর অঙ্গ পুনরুজ্জীবিত

মৃত শুয়োরকে নতুন জীবন দিলেন বিজ্ঞানীরা। হ্যাঁ, সত্যিই তাই। নতুন গবেষণায় একটি শূকরের মৃত্যুর এক ঘণ্টা পরে তার অঙ্গগুলিকে আংশিক ভাবে পুনরুজ্জীবিত করেছেন গবেষকরা, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মৃত্যুর সঙ্গে বিজ্ঞান আর কী জাদুকরি করতে পারে। শুয়োরটির অঙ্গ পুনরুজ্জীবনে যে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছিল, তা একটি পেপারে বর্ণনা করেছেন গবেষকরা। কিন্তু সেই প্রযুক্তি এখনও পর্যন্ত মানুষের উপরে প্রয়োগ করা হয়নি। তবে এই প্রক্রিয়া যে মানুষের উপরে প্রতিস্থাপনযোগ্য অঙ্গগুলির সরবরাহ উন্নত করতে পারে, সে কথা জানিয়েছেন গবেষকরা।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ২০১৯ সালে অবাক করার মতো একটি কাজ করেছিলেন। তাঁরা কৃত্রিম রক্ত এবং অন্যান্য যৌগ ব্যবহার করে একটি শুয়োরের মস্তিষ্কে কিছু সেলুলার এবং সংবহনমূলক কার্যকলাপ পুনরুদ্ধার করার চার ঘণ্টার পরেই সেটি মারা যায়। একটা বিষয় পরিষ্কার যে, তাঁরা বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ পুনরুদ্ধার করার পরিকল্পনা করেননি, যা সচেতনতা এবং চেতনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
এখন বিজ্ঞানীদের সেই একই দল আগের প্রক্রিয়ার আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে গিয়েছেন। শুয়োরের পুরো শরীরকে অর্গ্যানএক্স নামের একটি সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত করেছিলেন। এটি অনেকটাই সেই সব মেশিনের মতো, যার সাহায্যে ইদানিং মানুষের হার্ট এবং ফুসফুসের সাপোর্ট দেওয়া যায়।
অর্গ্যানএক্স কীভাবে কাজ করে  অর্গ্যানএক্স হল ওই বিজ্ঞানীদর দ্বারা ব্যবহৃত তরল যা শুয়োরের সংবহন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাম্প করা হয়। খুব সংক্ষেপে বলতে গেলে এই তরলের লক্ষ্য হল কোষের বৃদ্ধিকে উন্নীত করা এবং প্রদাহ কমানোর সময় কোষের মৃত্যুর হার হ্রাস করা। শুয়োরগুলির উপরে যখন এই অর্গ্যানএক্স প্রক্রিয়াটি চালনা করা হচ্ছিল, তখন বিজ্ঞানীরা খেয়াল করেন তাদের কোষগুলি নিজে থেকে মেরামতির চেষ্টা করছে। পাশাপাশি তারা সাধারণ ফাংশনগুলিও বহন করছিল। কিন্তু মৃত্যু মানে কী? বিজ্ঞানীরা শুয়োরের শরীরকে কাজে লাগালেও তার শরীরটাকে সচেতন করতে পারেননি। তাই প্রশ্ন উঠতেই পারে, শূকরটি কি সত্যিই বেঁচে ছিল? আংশিকও হতে পারে। এই গবেষণাটি এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়ে আরও অনেক কিছুই করা সম্ভব বলে দাবি করছেন গবেষকরা।