কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাই সগর্বে ঘোষণা করেছিলেন— ৭০ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া চিতা আবার ফিরে আসছে ভারতের অরণ্যে। আফ্রিকার নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বৎসোয়ানা থেকে সেই চিতা এনে ছাড়া হবে মধ্যপ্রদেশের কুনো-পালপুর জাতীয় উদ্যান-সহ আরও কয়েকটি সংরক্ষিত অঞ্চলে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের কুনো-পালপুর জাতীয় উদ্যানে চিতা রাখার পরিকল্পনাটি বাস্তবের ছবি দেখেনি এখনও। তবে এই সপ্তাহে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রকের এক সূত্র জানিয়েছে, আগামী অগস্টেই আফ্রিকা থেকে গোটা ছ’য়েক চিতা নিয়ে আসা হবে। এর পর ধাপে ধাপে আনা হবে আরও প্রায় ৪৫টি। কুনো-পালপুরের পাশাপাশি আরও কয়েকটি সংরক্ষিত এলাকায় ঠাঁই মিলবে তাদের।
বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এশিয়ান চিতার এখন প্রাকৃতিক বাস ইরানে। তবে সেখানেও সংখ্যায় তারা বেশি নয়, একশো-র-ও কম। চিতা গবেষক ডেরেক জোবার্ট জানিয়েছেন, আফ্রিকায় প্রতি ১০টি চিতার মধ্যে একটি মারা পড়ে সিংহ বা লেপার্ডের সঙ্গে সঙ্ঘাতে। ভারতেও এমনটা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নামিবিয়ার চিতা সংরক্ষণ প্রকল্পের আধিকারিক লরি মার্কারের কথায়, ‘রোগ বা শিকারি প্রাণীর হানায় চিতার ৯০ শতাংশ শাবকেরই মৃত্যু হয়।’ তাই শেষপর্যন্ত আফ্রিকা থেকে চিতা আনার কাজটা ফলপ্রসু হবে কি না সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।