পরমানু থেকে নির্গত ইলেকট্রন কনা তরঙ্গায়িত হয়ে ধাবিত হয়। চলতি সেপ্টেম্বরে অতি উন্নত মাইক্রাস্কোপের মাধ্যমে যে ছবি বিজ্ঞানীরা তুলেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে পরমানু থেকে ইলেকট্রন কনা নির্গত হচ্ছে স্প্রিংকে টেনে শঙ্কুর মতো করলে যে গতিপথ তৈরি হবে অমন গতিপথে। বাংলায় যাকে বলা যেতে পারে ক্রমগতিশীল দীপ্তির ঘূর্ণাবর্ত। এই বিশেষ কায়দায় নির্গত ইলেকট্রন কনাকে বলা হয় ‘ভোর্টেক্স বীম’।
কোয়ান্টাম ফিজিক্স অনুসারে অনু-পরমাণুর তরঙ্গের প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করে একটি স্থানে ঐ অনুর অবস্থানের সম্ভবনা বলে দিতে পারেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু ‘ভোর্টেক্স বীম’ তরঙ্গায়িত হয় না। এটি এগিয়ে যায় ঘুর্নাবর্তের মতো। ফলে আবর্তনশীল তীর্যক ভরবেগ বাহিত হয় এর ঘুর্নায়মান পথে। এই বেগ বা তেজকে বলা হয় ‘ওরবিটাল অ্যাঙ্গুলার মোমেন্টাম’। ইজরায়েলের পদার্থবিদ ইদভার্ডাস নারেভিকাস জানাচ্ছেন, ঘুর্নায়মান বেগ অপরিচিত তো বটেই সাথে বিষ্ময়করও।
কিন্তু অনু-পরমানু থেকে নির্গত ‘ভোর্টেক্স বীম’-এর সম্ভাব্য প্রয়োগপ্রণালী কী হতে পারে সেকথা অজানা বিজ্ঞানমহলের। স্কটল্যাণ্ডের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ সঞ্জা ফ্রাঙ্ক আর্ণল্ড বলেন, শীঘ্রই জানা প্রয়োজন ‘ভোর্টেক্স বীম’ দ্বারা কী করা যেতে পারে।