অ্যান্টার্কটিকার বরফের ভেতর উল্কাখণ্ডের হদিশ

অ্যান্টার্কটিকার বরফের ভেতর উল্কাখণ্ডের হদিশ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ২৭ মে, ২০২৩

অ্যান্টার্কটিকা ভাবলেই মনে পড়ে রাশি রাশি বরফ। বরফের চাদরে ঢাকা একটা আস্ত মরুভূমি। সেই বরফের পাহাড় থেকেই পাঁচটা নতুন উল্কার টুকরো খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তার মধ্যে একটা বেশ বড়ো আর ভারি – ওজনে ৭.৬ কিলোগ্রাম।
যদিও বিজ্ঞানের চোখে বড়ো উল্কা বা ছোট উল্কার মধ্যে কোনও ভেদবিচার নেই। তবুও অনেকগুলো উল্কার টুকরোর মধ্যে একটা যদি খুব বড়ো হয় তাহলে আলাদা করে চোখে তো পড়েই। অস্ট্রেলিয়াতে খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড়ো উল্কাখণ্ডের নাম মুন্ড্রাবিলা। ১৯৬৬ সালে নুলারবোর নামক জায়গায় আবিষ্কৃত হয় ওটা। এখন পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে মুন্ড্রাবিলা। ওজনে ১২ টন। কিন্তু নামিবিয়াতে ১৯২০ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো উল্কাখণ্ড খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। নাম – হোবা। ওজনে ৫৪ টনের এই উল্কার টুকরো এতই বড়ো আর ভারি যে সেটা কখনই সরানো হয়নি।
নতুন আবিষ্কৃত এই একসারি উল্কাখণ্ড আকস্মিক নয়। সদ্য আকাশ থেকেও পড়েনি। গবেষকরা বলছেন, প্রায় ৪৫০০০ ছোট ছোট উল্কার টুকরো শনাক্ত করা গেছে অ্যান্টার্কটিকায়। তাদের মধ্যে ১০০টা আকার বা ওজনে এগুলোর সমান।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মারিয়া ভালদেস ফিল্ড মিউজিয়ামের সাথেও যুক্ত রয়েছেন। তিনি বলছেন, উল্কার কথা চিন্তা করলে আকার আয়তন খুব একটা গুরুত্ব রাখে না। কিন্তু সাড়ে সাত কেজির উল্কাখণ্ড খুঁজে পাওয়া নিশ্চিত একটা চিত্তাকর্ষক বিষয়।