অ্যামেরিকান বিমানচালকদের স্কোর কমল কোথায়?

অ্যামেরিকান বিমানচালকদের স্কোর কমল কোথায়?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

 

দুর্দান্ত মনোযোগ, সবল স্মৃতিশক্তি এবং পরিস্থিতির সচেতনতা – অনেক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একজন পাইলট হতে গেলে এই গুণগুলো অবশ্যই প্রয়োজন হয়। কিন্তু বিমান চালানোর জন্যে ইমোশানাল ইন্টেলিজেন্স কতটা লাগে?
ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে ইতিপূর্বে বহু গবেষণা হয়েছে। কিন্তু এই বিশেষ মনোগত বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা বিমানচালকদের ক্ষেত্রে ঠিক কতটা বা কেমন তা নিয়ে কোনও গবেষণাই হয়নি, এমনই মতামত মেজর জাকারি ডাগারের। ইউনাইটেড স্টেটস মিলিটারি অ্যাকাডেমির গণিত বিভাগের অধিকর্তা উনি।
ইমোশানাল ইন্টেলিজেন্স বা সংক্ষেপে ইআই মাপা হয় সাধারণত দুটো মডেলের মাধ্যমে – ট্রেট ইআই এবং এবিলিটি ইআই। নতুন গবেষণায় প্রথমটাকে সামনে রেখে পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রশ্নমালা আর রেটিং স্কেলের মাধ্যমে যখন কোনও ব্যক্তির আবেগজনিত ধারনা বিশ্লেষণ করা হয়, তখন সেটাকে ট্রেট ইআই বলে সংজ্ঞায়িত করছেন গবেষকরা।
স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে গবেষণায় যোগ দিয়েছিলেন ২৪ থেকে ৬৭ বছর বয়সের মধ্যে ৪৪জন পাইলট। যাদের ১৫০ থেকে ৫০০০ ঘণ্টা বিমানচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ফিক্সড-উইং হোক কিংবা রোটারি-উইং, সবাইয়েরই বর্তমানে বৈধ যোগ্যতা আছে। আর কন্ট্রোল গ্রুপ হিসেবে এমন ৮৮জন মার্কিন নাগরিককে নেওয়া হয়েছিল যারা বিমানচালক নয়।
গবেষণার শেষে দেখা গেছে, পাইলটদের স্কোর অন্যদের চেয়ে কম এসেছে সামগ্রিক ট্রেট ইআই-তে। সার্বিকভাবে ভাল-থাকার নিরিখেও পিছিয়ে আছে মার্কিন ঐ বিমানচালকরা। পাইলট আর নন-পাইলটদের মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও বিশেষ কোনও ফারাক চোখে পড়েনি গবেষকদের।
যদিও, এই গবেষণার বিশেষ কিছু সীমাবদ্ধতাও ছিল। ৪৪জন বিমানচালককে নিয়ে নমুনা দলটা মোটেই বড়ো নয়। আর তাতে বৈচিত্র্যও কম ছিল। ৯৩% ছিল পুরুষ, ৯১% ছিল শ্বেতাঙ্গ আর কলেজ সম্পূর্ণ করেছেন ৯৮% পাইলট।
সায়েন্টিফিক রিপোর্টস পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটা।