বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন প্রচেষ্টা বা আধুনিক গবেষণার পরেও অ্যালঝাইমার্স রোগ সারানো যাচ্ছে না। বর্তমানে একদল গবেষক বলছেন, অ্যালঝাইমার্সের হওয়ার পিছনে ফ্রুক্টোস নামে শর্করার ভূমিকা আছে।
পূর্ববর্তী গবেষণায় বলা হত ফ্রুক্টোজ আমাদের পূর্বপুরুষকে খাবার সন্ধান করতে সাহায্য করত। কিন্তু আধুনিক গবেষণাতে বলা হচ্ছে, বর্তমান যুগের নিরিখে এই শর্করা মানুষের মস্তিষ্কে এমন কিছু উদ্দীপনার সৃষ্টি করে যা থেকে অ্যালঝাইমার্স রোগের সূচনা হতে পারে। ফ্রুক্টোস বিভিন্ন খাবার যেমন ফল, সবজি, মধুতে পাওয়া যায়। কিন্তু শরীরও নিজে থেকে ফ্রুক্টোস তৈরি করতে পারে, যেমন চড়া লবণযুক্ত খাবার থেকে।
ফ্রুক্টোসের উপস্থিতি মস্তিষ্কের কিছু বিপাকক্রিয়া বিঘ্নিত করে মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হতে দেয় না, তার ফলে মানুষের মনোযোগ নতুন স্মৃতি বা ঘটনার পরিবর্তে পুরোনো দিনের সময়ে নিবদ্ধ থাকে। তাহলে, আমাদের পূর্বপুরুষদের কীভাবে ফ্রুক্টোস সাহায্য করত? ফ্রুক্টোসের উপস্থিতিতে মানুষের মস্তিষ্কে কিছু কার্যকলাপ বন্ধ হওয়ার জন্য সে বাঁচার তাগিদে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ, নতুন আবিষ্কারের দিকে মনোযোগ দিতে পারত, আর প্রাচীন কালে খাবার খোঁজার জন্য এই ধরনের ঝুঁকির প্রয়োজন ছিল।
অ্যালঝাইমার্স সংক্রান্ত গবেষণায় বলা হয়েছে, বর্তমানে মানুষের ক্ষেত্রে এই ‘বেঁচে থাকার তাগিদ’ সর্বদা সক্রিয়, যদিও বেশিরভাগ মানুষকে এখন খাবার খোঁজার কাজ করতে হয় না।