মাটির নিচে ৪৭৮টি বাড়ির ধ্বংসাবশেষ। নিখুঁতভাবে তৈরি করা বাড়িগুলো। সবই এক একটা আনুষ্ঠানিক কেন্দ্র। এক একটা বাড়ি ৩৩০০ ফুট বাই ৯০০ ফুট! তার মধ্যে ২০টা প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। নিখুঁত তার স্থাপত্যের কাজ। অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্বিক আকেশি ইনোমাতার নেতৃত্বে এই আবিষ্কার হয়েছে, প্রকাশিত হয়েছে নেচার হিউম্যান বিহেভিয়ার জার্নালে।
কিন্তু আবিষ্কারের একটি অভিনব দিক আছে। মাটি খুঁড়তে হয়নি বাড়িগুলো আবিষ্কার করতে! প্রত্নতাত্বিকরা ‘লিডার’ ম্যাপের সহায়তায় নিখুঁত ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রত্যেকটি বাড়ির প্রতিটি অংশ বার করেছে। লিডার ম্যাপ হল ‘লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং’ পদ্ধতি। লেজার ও অন্যান্য থ্রি-ডি প্রক্রিয়ায় এই আবিষ্কার করেছেন প্রত্নতাত্বিকরা।
বাড়িগুলো পাওইয়া গিয়েছে মেক্সিকোর এক বিশাল অঞ্চল জুড়ে। প্রত্নতাত্বিকরা বলছেন, প্রাচীন মেসোআমেরিকার আনুষ্ঠানিক কেন্দ্র। মায়া এবং অলমেক সভ্যতা যে সময় ওই অঞ্চল জুড়ে আধিপত্য বিস্তার করেছিল। সময়টা প্রায় ৩৪০০ বছর আগে। অলমেক সভ্যতায় শিল্প ও স্থাপত্যের কাজ খুব উচ্চতর পর্যায়ের ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্নতাত্বিকরা। একটা পাথর কেটে দুদার্ন্ত ও নিখুঁতভাবে তৈরি স্থাপত্যের কাজের নিদর্শনও পেয়েছেন প্রত্নতাত্বিকরা।