আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে বিশ্বের সবচেয়ে তীব্র বজ্র বিদ্যুৎসহ ঝড়ের সূত্রপাত

আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে বিশ্বের সবচেয়ে তীব্র বজ্র বিদ্যুৎসহ ঝড়ের সূত্রপাত

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৩ জুলাই, ২০২৩

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের টোঙ্গা রাজ্যের উপকূলে অবস্থিত এক সাবমেরিন আগ্নেয়গিরি হুঙ্গা টোঙ্গা-হুঙ্গা হাপাই। এই আগ্নেয়গিরি  ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অগ্ন্যুৎপাত ঘটিয়েছিল যা নাসার তথ্য অনুসারে একযোগে একশোটি হিরোশিমা বোমার চেয়েও বেশি বিস্ফোরক শক্তি সম্পন্ন। ২০২২ সালের জানুয়ারী মাসে টোঙ্গায় জলের তলায় নিমোজ্জিত এই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে এক ভয়ঙ্কর তীব্র বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড় হয়েছিল ।  আগ্নেয়গিরি থেকে উৎপন্ন ম্যাগমা সমুদ্রের জলকে সঙ্গে সঙ্গে বাষ্পীভূত করে এবং ছাই, গ্যাস ও ৫০ মিলিয়ন টনেরও বেশি জলীয় বাষ্পের মেঘ আকাশে সৃষ্টি করে। জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারে গবেষকরা রিপোর্ট করেন যে টোঙ্গার, এই আগ্নেয়গিরি অগ্নুৎপাতের ফলে বৃহদাকার, বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত ছাই ও শিখা তৈরি হয় এবং প্রায় ২০০,০০০  বজ্রপাত ঘটে। প্রতি মিনিটে সর্বোচ্চ প্রায় ২৬০০ বার  বজ্রপাত হয়েছিল যা আগের ঝড়ের তুলনায় সর্বোচ্চ হারের  দ্বিগুণেরও বেশি। গবেষকদের মতে কিছু বজ্রপাত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৯ মাইল বা ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায় পৌঁছায়, যা এখন পর্যন্ত পরিমাপ করা সর্বোচ্চ বজ্রপাত। তারা আরো বলেন যে, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীর অন্য যেকোনো ধরনের ঝড়ের চেয়ে বেশি তীব্র বজ্রপাত সৃষ্টি করতে পারে। এই বিশ্লেষণ স্যাটেলাইট চিত্র এবং রেডিও অ্যান্টেনা নেটওয়ার্কের তথ্যের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে, এবং কীভাবে অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল সে সম্বন্ধে নতুন দিশা দেখিয়েছে।