আজব হীরে আসছে কোত্থেকে?

আজব হীরে আসছে কোত্থেকে?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

সৌরজগৎ আজ যেমন, তেমনটা চিরকাল ছিল না। প্রাচীন এক বামন গ্রহের সাথে বিরাট মাপের এক গ্রহাণুর সংঘর্ষে তৈরি হয়েছিল বিস্ময়কর হীরের টুকরো। আজ থেকে ৪.৫ বিলিয়ন বছর আগেকার কথা, বিজ্ঞানীরা বলছেন।

লন্সডেলাইট, ষড়ভুজ আকারের বিরল হীরক। গবেষকরা এই ধরণের হীরের প্রমাণ পেয়েছেন সম্প্রতি। ঐ বামন গ্রহের মাটির নীচে ইউরেলাইট নামের উল্কাখন্ডের ভেতর থেকে।

লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটির প্রথম মহিলা সদস্য ছিলেন বিখ্যাত ব্রিটিশ ক্রিস্টাল-বিশারদ ডেমি ক্যাথলিন লন্সডেল। ওনার স্মৃতির উদ্দেশ্যেই এই নয়া আবিষ্কৃত আজব হীরের নাম রাখা হল লন্সডেলাইট।

গবেষক দলে নানান দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একাধিক বিজ্ঞানী যুক্ত ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়, রয়্যাল মেলবোর্ন ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি, সিঙ্ক্রোটন ও প্লিমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা প্রমাণ করেছেন এই হীরের অস্তিত্ব। গবেষণাপত্র প্রকাশ পেলো প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশানাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স নামক জগদ্বিখ্যাত পত্রিকায়। মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ অ্যান্ডি টমকিন্স গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।

সাধারন হীরে আর লন্সডেলাইটের গঠনের ইতিহাস একেবারেই আলাদা। মহাকাশের এইসব পাথুরে গ্রহে হরেক রাসায়নিকের বাষ্প ঠাণ্ডায় জমে ঐ আশ্চর্য হীরে তৈরি হয়েছিল, এমনই জানিয়েছেন অন্যতম মুখ্য গবেষক ম্যাককুলোচ।