আজ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি এই গ্রহাণু

আজ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি এই গ্রহাণু

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৩ জুলাই, ২০২৪
আজ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি

গ্রহাণু সূর্যের চারদিকে ঘোরে। তবে মাঝে মাঝে গ্রহদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ফাঁদে পড়ে নিজেদের গতিপথ বদলে ছুটে আসে পৃথিবী বা অন্য কোনও গ্রহের দিকে। কখনও পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যায়। কখনও সংঘর্ষও হয়। সে কারণেই গ্রহাণুর গতিপথে নজর রাখে নাসা। মহাকাশে গ্রহাণুদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে বিভিন্ন কেন্দ্রে বিভিন্ন টেলিস্কোপ বা ভিন্ন ভিন্ন যন্ত্রপাতি বসিয়ে রেখেছে নাসা। আমেরিকার হাওয়াই দ্বীপে রয়েছে টেলিস্কোপ প্যানস্- স্টারআরএস১। শুধু গ্রহাণু নয়, যে কোনও মহাজাগতিক বস্তুর গতিবিধিই নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেন নাসার বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি নাসা আবার সতর্ক করেছে পৃথিবীবাসীকে। নাসা বলেছে বিশাল আকাশচুম্বী অট্টালিকার সমান এক বিশাল গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। ২০২৪ জেজে২৫ নামের এই গ্রহাণু আকারে ৩৭০ ফুট এবং ৩৩৬৭৩ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে। প্যান-স্টারআরএস ১ টেলিস্কোপে চোখ রেখে আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলেছেন গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে ৪ মিলিয়ন কিলোমিটারের দূরত্বে অতিক্রম করবে। এই ধরনের ঘটনা বিজ্ঞানীদের গ্রহাণুর গঠন এবং সৌরজগতের বিবর্তনের অধ্যয়নের বিরল সুযোগ করে দেয়।
পৃথিবীর চারপাশে গ্রহাণুর গতিবিধি নতুন নয়। আমরা অনেক সময়ই শুনতে পাই ছোটো বড়ো নানা আকৃতির গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে। তবে পৃথিবীর একেবারে কাছাকাছি চলে আসার সম্ভাবনা তাতে থাকে না বললেই চলে। তবু নাসা গ্রহাণুর দিকে নজর রাখে। তাদের আনুমানিক গতিবিধি সম্পর্কে আগে থেকে সতর্ক করা হয়। ২০২৪ জেজে২৫ নামের এই গ্রহাণুটি ২০২৪ সালের মে মাসে আবিষ্কার করা হয়। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গ্রহাণু দু’টি কারণে মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। প্রথমত তার আকারের কারণে ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। আর দ্বিতীয়ত যদি সেটি পৃথিবী থেকে ৭৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে চলে আসে তবে সমস্যা। ২০২৪ জেজে২৫ গ্রহাণুটির আকার এবং গতি উদ্বেগ উত্থাপন করেছে, তাই নাসা এর গতিপথ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা এই গ্রহাণুটি সম্ভবত আজ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর তাই আজ সারা বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এবং গবেষকরা ঘটনাটি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করবেন। সংগৃহীত তথ্য শুধুমাত্র এই বিশেষ গ্রহাণু সম্পর্কে আমাদের ধারণা স্বচ্ছ করবে তাই নয় বরং গ্রহ বিজ্ঞানের বিস্তৃত ক্ষেত্রেও অবদান রাখবে।