
সুনীতা উইলিয়ামস দীর্ঘকাল মহাকাশে রয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতে তার পৃথিবীতে ফেরার কথা। তার সহযাত্রী মাহাকাশচারী বুল উইলমোরের সাথে একজন দক্ষ মহাকাশচারী হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (ISS) নানা কাজ সামলাচ্ছেন। মহাকাশের অভিজ্ঞতা পৃথিবী থেকে অনেকটাই আলাদা। এতে শরীরের নানা পরিবর্তন হয়, পৃথিবীতে এসে আবার এখানকার পরিবেশে মানিয়ে নিতে শরীরের অসুবিধা হয়। আবার তারা কিছু অন্যরকম অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যান। যেমন আমরা পৃথিবী থেকে দিনে একবার সূর্যোদয় আর একবার সূর্যাস্ত দেখতে অভ্যস্ত, সুনীতারা সেখানে দিনে ষোলোবার সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখেন।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন আনুমানিক ২৮০০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে, প্রতি ৯০ মিনিটে কক্ষপথে একটা ঘোরা সম্পূর্ণ করে। আমাদের গ্রহের চারপাশে এই দ্রুত গতির জন্য মহাকাশচারীরা প্রায় প্রতি ৪৫ মিনিটে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের অভিজ্ঞতা লাভ করেন। পৃথিবীতে সাধারণত এক দিনে ১২ ঘণ্টা আলো আর ১২ ঘণ্টা অন্ধকার, কারণ পৃথিবীর সূর্যকে ঘিরে ঘোরার সময় ২৪ ঘণ্টা। সেখানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন মাত্র ৯০ মিনিটে পৃথিবীকে একবার ঘোরে। আর এই ঘোরার সময়, এটা পৃথিবীর অন্ধকার দিক থেকে আলোকিত দিকে যায়, আবার আলোকিত দিক থেকে অন্ধকার দিকে ঢোকে। এতে মহাকাশচারীরা ৪৫ মিনিট দিনের আলো ভোগ করেন পরবর্তী ৪৫ মিনিটে অন্ধকারে মুখোমুখি হন। এটা সারা দিনে ১৬ বার পুনরাবৃত্তি হয়, তাই তারা প্রতিদিন ১৬ বার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মুখোমুখি হন।