আফ্রিকাই মানবপ্রজাতির মাতৃক্রোড়

আফ্রিকাই মানবপ্রজাতির মাতৃক্রোড়

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৭ অক্টোবর, ২০২১

একাধিক জীবাশ্মবিদের পর্যবেক্ষণই এই তত্বে রূপান্তরিত যে মানুষের উৎস আফ্রিকা মহাদেশ। পরবর্তীকালে এক মহা অভিবাসন ঘটে মনুষ্যজাতির। যার ফলে পৃথিবী জুড়ে ধীরে ধীরে মানুষের ছড়িয়ে পড়া। সময়টা ২০ লক্ষ বছর বা তার কিছু সময় আগে।
ঠিকই চলছিল তত্ব। কিন্তু ২০০২-এ পোল্যান্ডের এক জীবাশ্মবিদ জেরার্ড গিয়েরলিনস্কির আবিষ্কারে আবার মানবসভ্যতার জন্ম ও উৎস নিয়ে বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে সৃষ্টি হয় নতুন ‘বিভ্রান্তির’! গ্রিসের ক্রিট দ্বীপে জেরার্ড কিছু পায়ের ছাপ খুঁজে পেয়েছিলেন। জানতে পেরেছিলেন তাদের বয়স ৬০ লক্ষ বছর! পৃথিবীর বুকে মানুষের মত কোনও প্রাণীর এটাই প্রাচীনতম চিহ্ণ। কিন্তু বিভ্রান্তিকর! তাহলে কি মানবসভ্যতার বয়স ২০ লক্ষ বছর নয়? ৬০ লক্ষ বছর? ২০০২-এ জেরার্ডের আবিষ্কারের পর থেকে বিজ্ঞানীরা এই চিহ্নগুলোকে ‘ট্রাকিলোস ফুটপ্রিন্ট’ নামে অভিহিত করতেন।
কিন্তু সেই নিয়ে প্রশ্ন নেই। সৃষ্টি হওয়া নতুন বিভ্রান্তি নিয়ে প্রশ্ন এবং সেখান থেকে চ্যালেঞ্জ। এত বছরের বিজ্ঞানীদের গবেষণা-সৃষ্ট যে তত্ব যেখানে বলা হয়েছে বিশ্বের অন্য যে কোনও জায়গার আগে আফ্রিকাতেই উদ্ভব ও বিবর্তন হয়েছিল ‘হোমিনিনদের’, সেটা মিথ্যে হয়ে গেল? পৃথিবীর সমস্ত মানুষ, বিলুপ্ত মানবজাতি ও আমাদের নিকটতম পুর্বপুরুষদের একসঙ্গে বোঝাতে বলা হয় হোমিনিন।
১১ অক্টোবর সায়েন্টিফিক রিপোর্টস নামের এক জার্নালে নতুন এই বিভ্রান্তিকে চ্যালেঞ্জ করে একটি নিবন্ধ লিখেছে নানা দেশের বিজ্ঞানীদের নিয়ে গঠিত গবেষকদের একটি দল।