‘রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস’ বা, ‘আরএসভি’। এই ভাইরাসের সাথে লড়াই করতে গত বছর প্রবর্তিত হয় তার এক ভ্যাকসিন। তারপর থেকেই গবেষকরা সারা বিশ্বে তার প্রভাব পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন। ইউনিভার্সিটি অফ রচেস্টার মেডিক্যাল সেন্টারের (ইউআরএমসি) সংক্রামক রোগের গবেষক অ্যাঞ্জেলা ব্রাঞ্চ, দ্য ল্যানসেটে তার সাম্প্রতিক মন্তব্যে জানিয়েছেন, যে সব ব্যক্তিদের গুরুতর রোগের ঝুঁকি রয়েছে তাদের এই রোগের টীকা নেওয়া উচিত। বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ফ্লুয়ের ভ্যাকসিনের মতোই আরএসভি প্রতিষেধককে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বয়স্ক মানুষদের মধ্যে আরএসভি গুরুতর শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতার কারণ। বিশ্বব্যাপী, আরএসভি সংক্রমণের কারণে লক্ষাধিকেরও বেশি ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিরা অসুস্থ হয়ে পড়েন, কয়েক লক্ষ হাসপাতালে ভর্তি হন এবং হাজার হাজার ব্যক্তির মৃত্যুও ঘটে। গবেষকদের মতে আরএসভি সংক্রমণ ইনফ্লুয়েঞ্জা বা কোভিড সংক্রমণের তুলনায় বেশি গুরুতর। ২০২৩ সালে, এফডিএ বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য তিনটি আরএসভি ভ্যাকসিন অনুমোদন করেছে। গবেষণায় জানা গেছে ফাইজার, জিএসকে এবং মডার্নার ভ্যাকসিন ৮০%-এরও বেশি ব্যক্তিদের আরএসভি নিউমোনিয়া এবং ব্রঙ্কাইটিস প্রতিরোধে সহায়তা করেছে। দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং একাধিক মার্কিন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা একটি বৃহৎ ইলেকট্রনিক স্বাস্থ্য রেকর্ড নেটওয়ার্ক থেকে তথ্য ব্যবহার করে আরএসভি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে আরএসভি ভ্যাকসিন ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে সংক্রমণের প্রবণতা ও মৃত্যু প্রতিরোধে ৮০% কার্যকর। তবে ২০২৩-২৪ সালের শীতের মরশুমে আরএসভি ভ্যাকসিন গ্রহণের সংখ্যা কম ছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে জুন ২০২৪-এ প্রকাশিত একটি নির্দেশিকা অনুসারে ৭৫ বছর বা তার বেশি বয়সী সমস্ত ব্যক্তিদের এবং ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তি যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের আরএসভি টীকা নেওয়া উচিত।