রোনাগ্রাম অথবা কোয়েটামিটারের সাথে চেনাজানা হয়ে যাওয়াই ভালো। ফ্রান্সে জড়ো হয়ে গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীরা মেট্রিক পদ্ধতির পালকে নতুন দুই পালক যোগ করলেন। পালক বা বলে প্রেফিক্স বলা যায়। যেমন মিটারের আগে কিলো, বা গ্রামের আগে মিলি। পৃথিবীতে হরেক রকম তথ্যের ভাণ্ডার যে ভাবে ফুলেফেঁপে উঠছে তাতে নতুন পদ্ধতি আমদানি না করলে সংখ্যার চাপে ঢাকা পড়ে যাবে অনেকেই।
তিন দশকেরও বেশি সময় আগে ইন্টারন্যাশানাল সিস্টেম অফ ইউনিটস বা এসআই এককের সাথে নতুন প্রেফিক্স যুক্ত হয়েছিল। তার এতদিন বাদে আবার দুটো। বৃহত্তম সংখ্যার পরিমাপের জন্যে রোনা আর কোয়েটা; ক্ষুদ্রতর পরিমাপের জন্যে রোন্টো আর কোয়েক্টো।
শুধুমাত্র বিজ্ঞানীরাই নন, উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারি প্রতিনিধিরাও। ফ্রান্সের প্যারিসের পশ্চিমদিকে ভার্সাই প্যালেসে প্রতি চার বছর অন্তর তাঁদের সভা বসে। এটা ছিল ২৭তম অধিবেশন। জেনারেল কনফারেন্স অন ওয়েটস অ্যান্ড মেজারস হল পোশাকি নাম। ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরি নতুন প্রেফিক্সের জন্যে সবার আগে তদ্বির করেছিল। তাঁদের পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে যে প্রস্তাব সর্বসম্মত।
প্রোফেসর ব্রাউন বলছেন, নতুন পদ্ধতিতে পৃথিবীর ভর হবে ৬ রোনাগ্রামের মতো। অর্থাৎ ৬-এর পিঠে ২৭টা শূন্য। বা বৃহস্পতির ভর ২ কোয়েটাগ্রাম, মানে ২-এর পর ৩০টা শূন্য।