আহত পেঙ্গুইনদের ঈশ্বর ছিলেন যিনি

আহত পেঙ্গুইনদের ঈশ্বর ছিলেন যিনি

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৭ মে, ২০২২

দক্ষিণ অষ্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের উপকূলেই দেখা যায় ছোট পেঙ্গুইনদের। আর ফিলিপ দ্বীপপুঞ্জে বাস ৩২ হাজার ছোট পেঙ্গুইনের! মেলবোর্ন থেকে মাত্র দেড় ঘন্টার রাস্তা। পর্যটকদের কাছে ফিলিপ দ্বীপপুঞ্জের প্রধান আকর্ষণ ছোট পেঙ্গুইন। কিন্তু এই প্রজাতির পেঙ্গুইনের একটাই বড় সমস্যা।গায়ে তেল লাগলে। গায়ে তেল লেগে গেলেই গুরুতরভাবে আহত হয় পেঙ্গুইনরা। আর তখন সমুদ্রে ভাসমান সেই তেল গা থেকে পরিষ্কার করার চেষ্টা করে তারা। যা করতে গেলেই পেঙ্গুইনের মৃত্যু অনিবার্য। তাই তাদের গায়ে প্রয়োজন হয় ছোট সোয়েটার বা জাম্পার। সেটা পরা অবস্থায় গায়ে সমুদ্রে ভাসমান তেল লাগতে পারে না পেঙ্গুইনদের। ২০১৫-য় ফিলিপ দ্বীপপুঞ্জের পেঙ্গুইন ফাউন্ডেশন সংবাদপত্রে একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। পেঙ্গুইনদের সোয়েটার বোনার লোক চাই।
সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছুটলেন নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে মেলবোর্নে। তিনি মানে আলফ্রেড আলফি ডেট। তখন তার বয়স ১১০ বছর! সোয়েটার আর জাম্পার বোনার কাজে অষ্ট্রেলিয়ায় তিনি এক ছিলেন এক কিংবদন্তি। অষ্ট্রেলিয়ার প্রবীণতম মানুষ হিসেবে দেশের লোক তাকে দেখত না। তিনি ছিলেন আহত হয়ে পড়া পেঙ্গুইনদের ইশ্বর! ফিলিপ দ্বীপপুঞ্জে থাকা ৩২ হাজার পেঙ্গুইনের মধ্যে আজও ২৫ হাজার পেঙ্গুইন আলফি-র তৈরি করে দেওয়া সোয়েটার পরে! ১৯৩২-এ স্ত্রী-র বোনের হাতে শেখা সোয়েটার বানানো শিখেছিলেন আলফি। সেই থেকে চলছিল তার সোয়েটার। অ্যান্টার্ক্টিকা ও গ্রিনল্যান্ডেরও পেঙ্গুইন ফাউন্ডেশন আলভি-র কাছ থেকে সোয়েটার নিয়ে গিয়েছে ছটো পেঙ্গুইনদের জন্য।
সেই আলফ্রেড আলভি প্রয়াত হলেন ২০১৬-তে, ১১১ বছর বয়সে। ফিলিপ দ্বীপপুঞ্জের পেঙ্গুইন ফাউন্ডেশন আলফ্রেডের কাজ নিয়ে একটা সংগ্রহশালাও তৈরি করেছে। পর্যটকদের কাছে এখন ছোট পেঙ্গুইনদের সঙ্গে আলফ্রেডের সংগ্রহশালা দেখাও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে সেখানে!