ইয়োরোপে নীল আলোর দূষণ বাড়াচ্ছে এলইডি বাতিস্তম্ভ

ইয়োরোপে নীল আলোর দূষণ বাড়াচ্ছে এলইডি বাতিস্তম্ভ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৫ অক্টোবর, ২০২২

বেনিআসহকলা – দৃশ্যমান আলোর বর্ণপ্রকরণ। পুরনো বাতিস্তম্ভ বা অন্য ক্ষেত্রেও এই প্রকরণের শেষদিকটা ব্যবহার করা হত। অর্থাৎ টিউবলাইট বা বাল্বে এমনকি রাস্তার আলোতেও হলুদাভ ধাঁচ আমরা সবাই কমবেশি দেখেছি। কিন্তু এলইডি আলো আবিষ্কারের পর থেকেই মূলত উজ্জ্বলতা আর শক্তিসাশ্রয়ের প্রশ্নে পুরনো আলো অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। ইউরোপও তার ব্যতিক্রম নয়।

কিন্তু আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে মহাকাশচারীদের তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে ইংল্যান্ডের একদল গবেষক বলছেন, রাস্তার বাতিস্তম্ভে এলইডির ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে নীল আলোর দূষণ বেড়ে চলেছে গোটা ইউরোপ জুড়েই। আর তাতে মানুষের স্বাস্থ্য, জন্তুজানোয়ারদের আচরণ এমনকি জ্যোতির্বিদ্যার গবেষণাতেও বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

১৯৯০ সালের পর থেকে উজ্জ্বল নীল এলইডি বাজারে আসার পর সাদা এলইডির উদ্ভাবন জলদিই হয়েছিল। বর্তমানে ঘরবাড়ি, অফিস আদালত সর্বত্রই এই সাদা এলইডির রমরমা। কিন্তু ইংল্যান্ডের এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক আলেহান্দ্রো সাঞ্চেজ দে মিগুয়েল ও তাঁর দল এই প্রথম মেপে দেখালেন ঠিক কতটা নীল আলোর দূষণ ইউরোপ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। মানুষের সির্কাডিয়ান রিদম নষ্ট করে দিয়ে ঘুমের বারোটা বাজাতে পারে অতিরিক্ত নীল আলোর দূষণ। প্রোফেসর মিগুয়েলের দল এমন কিছু পতঙ্গের নমুনাও সামনে রাখছেন যাদের জীবনচক্রে সরাসরি প্রভাব ফেলছে আলোকদূষণ। অন্য সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা, মূলত যারা রাতের আকাশে পর্যবেক্ষণ চালান।

মিগুয়েল হতাশার সুরে বলছেন, কোন যুক্তিতে অতিনীল এলইডির এতও ভিড় সেটা বোঝা মুস্কিল। বিদ্যুৎ কিছুটা বাঁচলেও মৃদু আলোর কোনও সুবিধেই এ থেকে পাওয়া যায় না। গবেষণাপত্রটা প্রকাশিত হল সম্প্রতি সায়েন্স আডভান্সেস নামের পত্রিকায়।