GJ 1252b নামের এক গ্রহ নিয়ে মহাকাশবিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়েছেন বহুদিন ধরে। কিন্তু যে সিদ্ধান্তে শেষমেশ ওনারা উপনীত হলেন, সেটা বিশেষ সুখকর নয়।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রিভারসাইড ক্যাম্পাসের মাইকেল হিল এই গবেষণার অন্যতম বিজ্ঞানী। তাঁর কথায়, নক্ষত্রের বিকিরণের চাপ এতটাই বেশি যে প্রদক্ষিণকারী গ্রহটার আবহমণ্ডল শ্রেফ উবে যায়। পৃথিবী থেকে ৬৫ আলোকবর্ষ দূরে ঐ গ্রহের অবস্থান। একটা লাল বামন নক্ষত্রের চারপাশে ঘোরে। পৃথিবীর হিসেবে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ঐ রেড ডোয়ার্ফকে দু বার পাক খায় অদ্ভুতুড়ে গ্রহটা।
নতুন এই গ্রহের সাথে আমাদের সৌরজগতের বুধগ্রহের তুলনা চলে। দুটো গ্রহেই সে অর্থে কোনও বায়ুমণ্ডল নেই। কক্ষপথের কেন্দ্রে থাকা নক্ষত্রের সাথে দূরত্বের পরিপ্রেক্ষিতে হয় গ্রহদুটো অতিউষ্ণ নয়তো বরফাবৃত থাকে। এছাড়া অন্য তৃতীয় কোনও অবস্থা নেই এই দুই গ্রহেই।
মহাকাশবিজ্ঞানীরা স্পিটজার স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে নতুন গ্রহকে চিহ্নিত করেছেন ইনফ্রারেড বিকিরণ শনাক্ত করে। গবেষকদের হিসেব বলছে, লাল বামন নক্ষত্রের উচ্চতাপ আর বিকিরণে গ্রহের পরিবেশ বিস্ফারিত হয়। দিনের বেলা তাপমাত্রা ১২২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস! ঐ উষ্ণতায় সোনা, রূপো বা তামার মতো ধাতু এমনিতেই গলে যাবে। অন্যতম মুখ্য গবেষক স্টিফেন কেন বলছেন, পৃথিবীর চেয়ে ৭০০গুণ বেশি কার্বন ঐ গ্রহে থাকলেও দুর্ভাগ্য যে কোনও বায়ুস্তরের উপস্থিতি নেই।
ইউনিভার্স টুডে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটা।