বিশ্ব উষ্ণায়ন ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। পরিবেশবিদ, বিজ্ঞানীরা এর জেরে সমুদ্রস্তরের উচ্চতা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। বিশ্বের প্রচুর শহরের অদূর ভবিষ্যতে জলের তলায় চলে যাওয়ার আশঙ্কার সৃষ্টি হচ্ছে। এই অবস্থায় নাসা এবং ফরাসি স্পেস এজেন্সি যৌথভাবে এক নতুন মিশনের কথা ঘোষণা করল। মিশনের নাম সারফেস ওয়াটার অ্যান্ড ওশান টোপোগ্রাফি (সোট)। এই মিশনকে সফল করতে যৌথভাবে এই দুই স্পেস সংস্থা একটি নতুন উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাবে। যার কাজ হবে পৃথিবীর পৃষ্ঠে সমুদ্রের কার্যকলাপ, তার গতিবিধি। বর্তমান পরিস্থিতিতে, যেখানে উষ্ণায়নের জেরে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে, সেই অবস্থাকে পর্যবেক্ষণ করা এই উপগ্রহের কাজ, জানিয়েছেন সোট মিশনের প্রোগ্রাম সায়েন্টিস্ট নাদিয়া ভিনোগ্রাদোভা শিফার। এই নতুন উপগ্রহ সমুদ্রের স্রোতের গতিবিধি নিয়েও বিজ্ঞানীদের জানাবে, উষ্ণায়নের ধাক্কায় কীভাবে এবং কত পরিমাণে সমুদ্রের স্রোত কার্বন-ডাই-অক্সাইড শুষছে, কীভাবে স্রোত থেকে সৃষ্টি হচ্ছে গ্রীনহাউস গ্যাস, বাড়তি তাপমাত্রা এবং আরও অনেক কিছু। বিভিন্ন দেশের নদীগুলোও সমুদ্রের জল কতটা নিতে পারছে সেটাও এই নতুন উপগ্রহ পর্যবেক্ষণ করে জানাবে বিজ্ঞানীদের। ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন ২০২২-এ এই নতুন উপগ্রহ তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপর শুরু হবে বিভিন্ন রকমের পরিস্থিতিতে এই উপগ্রহের পরীক্ষামূলক কাজকর্ম। নাসার হিসেবে যেটা লাগবে প্রায় ৬ মাস। তারপর তাকে পাঠানো হবে মহাকাশে।
জলের আর এক নাম জীবন। পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার জেরে সেই জীবন বিপন্ন হতে চলেছে। আগামী দশকগুলোয় ল্যান্ডস্কেপ এবং পৃথিবীর ভূগোলে চোখে পড়ার মত পরিবর্তন আসতে চলেছে। তাই এই নতুন সোট উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানোর ভাবনা। কিন্তু সমাধান তো উপগ্রহ করবে না। তাই আগামীদিনে সমুদ্র বা জলের ভাগ্য সেই মানুষের হাতেই!