বেশ কিছুটা সময় পেরিয়ে গেছে ‘বিজ্ঞানভাষ’-এর ‘আগের’ সংখ্যা প্রকাশের পর। এ-সংখ্যা উৎসবের মুখোমুখি। ‘পত্রিকার’ আকার এবং বিন্যাসে কিছুটা ভিন্নতা আনার চেষ্টা করা হয়েছে। বিজ্ঞানের পথচলা সবসময়ই নতুনকে আহ্বান করে। আমরাও তেমনই একটু নতুন সাজে।
ভারতের ‘বিজ্ঞান’ বিষয়টা একটা বেশ মজার রূপ পাচ্ছে দিনদিন। একদিকে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করেন এবং সমাজদীপ্ত ভাবনায় বিজ্ঞানের আলো নিয়ে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন সাধারণ মানুষের পাশে। তেমনই দেবদেবী আর ‘ভারতীয়’ ঐতিহ্যের নাম ক’রে সম্পূর্ণ কল্পনাভিত্তিক এবং অপার্থিব এক জপতপের বস্তু হিসাবে ‘বিজ্ঞান’-কে তুলে ধরার এক যজ্ঞ চলছে চারপাশে। ‘বিজ্ঞান’-কে কুহকের সাথে এক করতে পারলে মানুষকে যুক্তিকোণের থেকে বার করা যায়; ইতিহাসে এরকম চেষ্টা বহুবার হয়েছে। বিজ্ঞানের মূল শক্তিই হচ্ছে প্রশ্ন করার স্পর্ধা। নানান পথে হেঁটে ‘উত্তর’ খোঁজার মধ্যে দিয়েই বিজ্ঞানের বিকাশ। চোখ বন্ধ ক’রে গনেশ বাবাজীর পুজোআচ্চার পাশাপাশি বিজ্ঞানের যে চর্চা, তা মানুষকে বিশ্বাসী হতে শেখায়, ভাবনাকে শৃঙ্খলিত করে। ‘নতুন’-এর ডাক পেড়ে বিজ্ঞান পথ হাঁটে। ‘বিজ্ঞানভাষ’ উৎসবের দোরগোড়ায় সেই নতুনেরই আবাহন করতে চায়।