তিমি মাছটির নাম রাইট হোয়েল। আটলান্টিকের উত্তরে এই বাসস্থান। তাই এর আর এক নাম নর্থ আটলান্টিক রাইট হোয়েল। একে বলা হয় বিরল প্রজাতির তিমি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিরল প্রজাতির তিমির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ২০১৯-এ ছিল ৩৬৬টি। গতবছর সেটা কমে গিয়ে হয়েছে ৩৩৬টি। সমুদ্রবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন গত দু’দশকে এটা সবচেয়ে কম! রাইট হোয়েলরা একসময় নিউ ইংল্যান্ডের সমুদ্রে প্রচুর ছিল। কিন্তু ওদের মারতে পারলে প্রচুর তেল বেরোয়। মানুষ সেটা নিজের কাজে লাগানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে রাইট হোয়েল মেরে ফেলেছিল। অন্তত অর্ধ শতক আগে মার্কিন সরকার এই বিরল প্রজাতির তিমি মাছদের ‘বিপজ্জনক প্রাণীর’ তালিকাভূক্ত করেছে। ২০১১-তে ও উত্তর আটলান্টিকে প্রায় ৫০০টি এই বিরল প্রজাতির তিমি মাছের অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু সমুদ্রে বিভিন্ন মাছ ধরা নৌকো, তাদের মাছ ধরার যন্ত্রপাতির সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রচুর মাছের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাছাড়া সাম্প্রতিককালে, প্রজননের অভাবেও রাইট হোয়েলের সংখ্যা বাড়ছে না বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। বিশালাকায় এই তিমি মাছের ওজন ৬১ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। সম্প্রতি রাইট হোয়েল বাঁচানোর উদ্যোগে মার্কিন সরকার আটলান্টিকে কাঁকড়া এবং অন্যান্য মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা এনেছে। এখন দেখার, তাতে রাইট হোয়েল বাঁচে কি না।