করোনার দান কি অবসাদ!

করোনার দান কি অবসাদ!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২২ জুন, ২০২২

করোনা অতিমারি পর্বে অবসাদে ভুগে আত্মহত্যার একাধিক খবর পাওয়া গিয়েছিল। লকডাউনে ঘরবন্দি থেকে অনেকে হতাশাতেও ভুগেছেন। হতাশার সেই ছবিও ধরা পড়েছে বিভিন্ন সময়ে। মনের স্বাস্থ্য নিয়ে সতর্ক হতে বারংবার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। এ বার অবসাদ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র এক রিপোর্ট উদ্বেগ বাড়াল।
হু-র ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা অতিমারির প্রথম বছরে অবসাদ ও দুশ্চিন্তায় ভোগা মানুষের সংখ্যা ২৫ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। করোনা অতিমারিকে বিশ্বের ‘বৃহত্তম সঙ্কট’ বলেও বর্ণনা করা হয়েছে সেখানে। বলা হয়েছে, অতিমারির ব্যাপক প্রভাব পড়েছে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে। হু-র রিপোর্ট বলছে, ‘অতিমারির প্রথম বছরে ২৫ শতাংশেরও বেশি অবসাদ ও দুশ্চিন্তা বেড়েছে। অতিমারিতে তরুণ-তরুণী, মহিলা মানসিক অসুস্থতায় ভুগেছেন… ১০০ কোটি মানুষ অথবা বিশ্বের প্রতি আট জনের মধ্যে এক জনের মানসিক সমস্যা ছিল ২০১৯ সালে।’ ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে যাতে সকলে উদ্যোগী হয়, সেই আর্জিই রাখা হয়েছে হু-র তরফে।
ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, শিশুদের যৌন হেনস্থা ও নিপীড়ন অবসাদের অন্যতম বড় কারণ। এ ছাড়াও যুদ্ধ, জলবায়ু সঙ্কটের মতো পরিস্থিতিকেও অবসাদের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রচারের বহর বাড়লেও বিভিন্ন দেশের সরকার এর পিছনে খুব একটা অর্থ ব্যয় করছে না বলেও দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।