কয়েক দশক আগে পরিবেশে কার্বন নির্গমন কমাতে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা কার্বন অফসেট প্রকল্পের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যা আসলে পরিবেশ দূষণের ক্ষতিপূরণ। কার্বন অফসেটের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থে নতুন পরিবেশ সৃষ্টি করার প্রকল্পই প্রস্তাব দিয়েছিলেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সেই প্রকল্প এখনও পর্যন্ত ব্যর্থ। বর্তমান সময়ে বাতাসে কার্বন মেশার পরিমাণ বছরে গড়ে ৪৪ মিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড। এছাড়াও রয়েছে মিথেন, কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের মত গ্রিনহাউস গ্যাস। এই বিপুল পরিমাণ কার্বন নির্গমনের একটা বড় অংশ আসে শিল্পাঞ্চল থেকে। ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কার্বন নির্গমন হত বিমান পরিষেবা থেকে। সেই কারণে বিমান পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সংস্থার জন্য পরিবেশ বিজ্ঞানীদের প্রস্তাব ছিল কার্বন ফুটপ্রিন্ট বৃদ্ধির দায় নিতে হবে যাত্রীদের অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে। অরণ্যায়ন এবং রাসয়নিক পদ্ধতিতে কার্বন ট্র্যাপিং-এর মত খাতে খরচ খরচ করা হবে সেই অর্থ।
কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত কার্বন অফসেটের ধার্য করা অর্থ স্বেচ্ছায় দিয়েছেন ৮ শতাংশ যাত্রী!