কার্বন দূষণের বিপদ বাড়ছে ডার্ক ডেটার ঠ্যালায়

কার্বন দূষণের বিপদ বাড়ছে ডার্ক ডেটার ঠ্যালায়

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

ফোনের যে ছবিগুলো আপনি ডিলিট করে দিয়েছেন, বা ব্যবসার যে এক্সেল ফাইলগুলো কাজে লাগে না – কোথায় যায় সেসব? ইন্টারনেটের যে সব ডিজিটাল তথ্য অদরকারী তারা জমা হয় ডার্ক ডেটায়। পরিমাণটা কল্পনা করতে অনেকেই পারছে হয়তো। এই ডার্ক ডেটা জমিয়ে রাখতে বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক শক্তি খরচ হয়।
বড়ো বড়ো কম্পিউটারে জমা করা থাকে রাশি রাশি বাতিল আর অকাজের ডিজিটাল তথ্য। তারপর বিশাল সব ওয়্যারহাউস কাজে লাগে ঐ সব কম্পিউটার রাখার জন্যে। সেসব গুদামঘরের জন্য বিদ্যুৎ নষ্ট হয় প্রচুর পরিমাণেই। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যারা লড়াই করছেন তারা গাড়ি, উড়ান আর কলকারখানার দূষণ নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু ডার্ক ডেটাজনিত দূষণ ইতিমধ্যেই বাকি ক্ষেত্রকে টেক্কা দিচ্ছে।
পৃথিবী জুড়ে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের মোটামুটি ৪ শতাংশ অবদান ডার্ক ডেটার। ডিজিটাল উৎপাদনের রমরমা বেড়েই চলেছে। অদূর ভবিষ্যতে ডিজিটালে কাটছাঁটের কোনও আভাস দিতে পারছেন না কেউই।
লাওবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক টম জ্যাকসন আর ইয়ান হজকিনসন। ওনারা একটা অদ্ভুত হিসেব দিয়েছেন। একটা ছোট ডিজিটাল ফার্ম যারা কিনা দিনে ২৯৮৩ গিগাবাইট ডেটা তৈরি করে। ঐ ফার্ম যদি এক বছর ঐটুকু তথ্য সংরক্ষণ করে এক বছর ধরে, তাহলে সেটা লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক অবধি বিমানযাত্রার সমান কার্বন দূষণ ঘটাতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − five =