সারা পৃথিবী জুড়েই নির্বিচারে বিনা বাধায় ঘুরে বেড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স। এই ভাইরাস এমনভাবেই বারবার ভোল বদলাচ্ছে যে প্রতিবারই এর সামনে মুখ থুবড়ে পড়ছে মানুষের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা।
মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাসবিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসের ২০০টা স্ট্রেন বিশ্লেষণ করে দেখেছেন। মাঙ্কিপক্সের এতগুলো প্রকরণ ১৯৬৫ সাল থেকে দুনিয়া জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ভ্যাকসিন-সৃষ্ট বা প্রাকৃতিক কোনও অ্যান্টিবডি সম্পূর্ণ মোকাবিলা করে উঠতে এখনও পারেনি।
গবেষকরা বলছেন, ভাইরাসের শরীরে এমন এমন জায়গায় অভিযোজন ঘটেছে, সাধারণত যে জায়গাগুলো ওষুধ বা ভ্যাকসিন আক্রমণ করে। সমস্ত চিকিৎসা পদ্ধতিকে ব্যর্থ করে বারংবার এই ভাইরাস আক্রান্ত করেছে মানুষকে।
গবেষণাপত্র প্রকাশিত হল জার্নাল অফ অটোইমিউনিটি নামের পত্রিকায়। মুখ্য গবেষক ছিলেন কমলেন্দ্র সিংহ। ওনার নেতৃত্বে গবেষক দল ত্রিমাত্রিক মডেলিং দ্বারা ভাইরাসের প্রোটিনের গঠন থেকে অভিযোজনের ধরণ শনাক্ত করেছেন। প্রত্যেকটা আলাদা আলাদা অভিযোজন ভাইরাসের শরীরে ঠিক কোথায় কোথায় ঘটেছে সেটাও ধরা পড়েছে। কমলেন্দ্র সিংহ বলছেন, মাঙ্কিপক্স একটা বিশালাকার ভাইরাস। এর জিনোমে ২০০০০০ ডিএনএ বেস রয়েছে। এই লম্বা জেনেটিক কোডের জন্যে অভিযোজনের বিপুল সুযোগ থাকে। সেগুলোর মধ্যে দরকারি অভিযোজনগুলো ভাইরাসের ক্ষমতা অনেকগুন বাড়িয়ে দেয়। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে বা ধোঁকা দিতে সুবিধেও হয় এই কারণেই।