কোয়ান্টাম দশায় ব্ল্যাকহোলের ভেতর ভুতুড়ে ভরের হদিশ

কোয়ান্টাম দশায় ব্ল্যাকহোলের ভেতর ভুতুড়ে ভরের হদিশ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ২ নভেম্বর, ২০২২

গত শতাব্দীর বেশিরভাগ সময় জুড়েই কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা আর সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্বের মধ্যে ঠোকাঠুকি চলেছে। নিজের মতো করে দুটো তত্ত্বই সঠিক কিন্তু তাদের মধ্যে কোনোভাবেই মেলবন্ধন সম্ভব হয়নি।
সম্প্রতি, ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের কোয়ান্টাম চরিত্র নিয়ে একটা গাণিতিক প্রমাণ সামনে এসেছে। এতে ঐ দুটো তত্ত্বের পুনর্মিলন সম্ভব হল বলেই মতামত বিজ্ঞানীদের। মহাজাগতিক এবং আণবিক পর্যায়ে কেমনভাবে আমাদের এই মহাবিশ্ব কাজ করে সেটা নিয়ে একটা গ্র্যান্ড থিওরি বা সার্বজনীন তত্ত্বের রাস্তাও সুগম হতে পারে। সৌজন্যে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যার গবেষকরা।
অন্যতম মুখ্য গবেষক জশুয়া ফু জানালেন, কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার কিছু অদ্ভুত আর চিত্তাকর্ষক বৈশিষ্ট্য যে কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে নিহিত আছে সেটা এতদিন মোটেই গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হয়নি। সেইসব চরিত্রের মধ্যে একটা হল সুপারপজিশান বা উপরিপাতের ঘটনা। যেখানে কোয়ান্টাম মাত্রার নিরিখে একটা কণা একই সময়ে একাধিক ভিন্ন দশায় থাকতে পারে। যেটা সাধারণভাবে শ্রোডিঞ্জারের বেড়ালের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়। ঐ বেড়াল একই সময় মৃত এবং জীবিত অবস্থায় থাকতে পারে।
কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক গবেষক ম্যাগডালেনা জাইচ স্মরণ করছেন একজন ইস্রায়েলি তাত্ত্বিক পদার্থবিদ জেকব বেকেন্সটাইনের কথা। ব্ল্যাকহোলের ভেতরকার তাপগতিবিদ্যার পটভূমিকা নিয়ে ঐ বিজ্ঞানী একেবারে মৌলিক কিছু গবেষণা করেছিলেন। সেগুলো যে একেবারেই সঠিক ছিল, সেটা বোঝা যাচ্ছে হালের এই গাণিতিক প্রমাণের পর। আমরা যা এতদিন কল্পনা করতে পারিনি সেসব বিষয়ই এই ব্রহ্মাণ্ড প্রকাশ করে যাচ্ছে ক্রমাগত, এমনই বলছেন প্রোফেসর জাইচ।
ফিজিক্যাল রিভিউ লেটারস পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্র।