খামারের মুরগির দুর্দশা ঘোচাতে বিশেষ কৃত্রিম মেধা

খামারের মুরগির দুর্দশা ঘোচাতে বিশেষ কৃত্রিম মেধা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা।
Posted on ১৫ জুলাই, ২০২২

কৃত্রিম মেধা বা আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স। মানুষের জীবনে ক্রমশ অপরিহার্য হয়ে উঠছে। তথ্য হোক বা ওষুধ, সমস্ত দিক থেকে এই বিশেষ প্রযুক্তি মানুষের জীবনে অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে শুধু মানুষ নয়, এবার ফার্মে থাকা মুরগিদের জীবন উন্নত করতে ব্যপকভাবে কার্যকর হয়ে উঠতে পারে কৃত্রিম মেধা। ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এই বিষয়ক একটি গবেষণামূলক লেখা থেকে জানা গিয়েছে এআই প্রযুক্তির সহায়তায় ৯৭ শতাংশ নির্ভূলভাবে বিশাল গৃহমধ্যস্থ শেডে থাকা মুরগিদের মধ্যে দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় পড়া মুরগিদের চিহ্নিত করা যাবে। এআই প্রযুক্তিই ‘কল ডিটেক্ট’ করে দেবে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া বা গুরুতরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত মুরগিদের। অভিনব এই প্রযুক্তিটি কৃষকদের চাপের বোঝা কমাতে এবং মুরগিদের যেখানে রাখা হয় সেই জায়গার উন্নতি ঘটাতে নিখুঁতভাবে ব্যবহার করা যাবে বলে বিশ্বাস প্রযুক্তির আবিষ্কারকদের। মানুষের কান যা ধরতে পারে না এই প্রযুক্তি, দশ হাজারের বেশি মুরগি থাকা বিশাল বাণিজ্যিক খামারের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।
গবেষকদের দাবি, মানুষের উপস্থিতি মুরগিদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাই যে খামারগুলোয় প্রচুর সংখ্যায় মুরগি থাকে সেখানে এই কৃত্রিম-মেধা ভিত্তিক প্রযুক্তি জীয়নকাঠির ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেই পারে।
অভিনব এই পদ্ধতিটি হল একটি গভীর শিক্ষার হাতিয়ার যা খামারের মুরগির রেকর্ডিং থেকে তাদের ডিসট্রেস কল সনাক্ত করতে পারে। টুলটিকে রেকর্ডিং হিসেবে ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল যা ইতিমধ্যেই মানব বিশেষজ্ঞদের দ্বারা তাদের প্রতিনিধি নির্ধারণের জন্য ম্যানুয়ালি শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছিল। এই বিষয়ে হংকংয়ের অ্যানিম্যাল বিহেভিয়ার অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার দফতরের অধ্যাপক অ্যালান ম্যাকইলিগটের দাবি, “এই প্রযুক্তির মাধ্যমে শুধু মুরগির ডিসট্রেস কল গণনা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। বরং আমরা চাই মুরগিদের জন্য এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যেখানে তারা নিজেদের দুর্দশার পরিমাণ কমিয়ে উন্নতভাবে জীবনযাপন করতে পারবে।”