গবেষণার জন্যে আরও অনেক প্রকাণ্ড বেলুন ছাড়বে নাসা

গবেষণার জন্যে আরও অনেক প্রকাণ্ড বেলুন ছাড়বে নাসা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২০ জুন, ২০২৩

একেকটা বেলুনের সাইজ স্টেডিয়ামের মতো! মস্করা করে ডাকা হয় ‘কুমড়ো’। ২০২২ সালে যে অতিকায় বেলুনগুলো ছাড়া হয়েছিল সেগুলো ফিরে এসেছে নিউজিল্যান্ডের ওয়ানাকায়। আবার গবেষণার জন্যে এমন ম্যামথ বেলুন পাঠানোর তোড়জোড় করছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটা।
নাসার তরফ থেকে জানানো হয়েছে সম্পূর্ণ স্ফীত হলে বেলুনের আয়তন হবে ৫৩২৩৭৯ ঘনমিটার। অর্থাৎ গোটা একটা ফুটবল স্টেডিয়াম ঢুকে যেতে পারে ঐ বেলুনের ভেতরে।
এই অতিকায় বেলুনের আকার কিন্তু নিখুঁত গোলকের মতো নয়। বরং একটু চাপা। পলিইথিলিন দিয়ে তৈরি এই বেলুনের ভেতর ভরা থাকে হিলিয়াম গ্যাস। এই ‘কুমড়ো’-র মধ্যেই থাকে হরেক রকমের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি।
মাটি থেকে মোটামুটি ৩৩.৫ কিলোমিটার উচ্চতায় বায়ুমণ্ডলে ভাসতে থাকে নাসার বেলুনগুলো। এতটা উঁচুতে থাকে বলে এটাকে ‘নিয়ার-স্পেস’ বলা চলে। স্পষ্টভাবে টেলিস্কোপের মতো যন্ত্রপাতির মাধ্যমে মহাকাশের গ্রহ তারা কিংবা ছায়াপথ পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়।
সম্পূর্ণ মোড়া থাকে, ঢাকা থাকে এই বেলুন। যাতে হিলিয়াম গ্যাস বাইরে বেরতে না পারে। ফলে অনেক বেশি সময় ধরে বায়ুমণ্ডলে ভেসে থাকতে পারে অতিকায় বেলুন। মোটামুটি একশো দিন একটানা ওড়ার মতো করেই এগুলো বানানো হয়েছে। যদিও সর্বোচ্চ রেকর্ডটা ৫৪ দিনের। বেলুনের গতিবেগ থাকে ঘণ্টায় ২৪ কিলোমিটারের আশেপাশে।
এদিকে নিউজিল্যান্ডের ওয়ানাকা থেকে উৎক্ষেপণের সুবিধে বলে নাসা ঐ জায়গাটাকেই তাদের লঞ্চ স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করতে চায়।