গ্রিনহাউস গ্যাসে কড়া নজরদারি স্যাটেলাইটের

গ্রিনহাউস গ্যাসে কড়া নজরদারি স্যাটেলাইটের

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৮ মে, ২০২৩

গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে লাগাম দেওয়ার প্রতিশ্রুতিই সার। কাজের বেলায় উল্টো। নেচার পত্রিকার সাস্টেনেবিলিটি বিভাগে একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করলেন গবেষকরা। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিধিবদ্ধ সময়ের থেকে আমরা পাঁচ বছর পিছিয়ে রয়েছি।
ওই প্রতিবেদনেই উল্লেখ করা হয়েছে কৃত্রিম উপগ্রহের ভূমিকা। কয়লাখনি থেকে নির্গত মিথেনের পরিমাণ কিংবা সমুদ্রের পাশের গ্যাসের ভাণ্ডার থেকে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ – সবটাই বেশ নিখুঁত ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে পৃথিবীর মাথার উপর চরকি কাটতে থাকা একাধিক স্যাটেলাইট। যদিও তাদের মধ্যে গবেষকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে আছে ‘কোপারনিকাস সেন্টিনেল-২’ নামের একটা কৃত্রিম উপগ্রহ।
প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের সময় অনেকটা বাড়তি দাহ্য গ্যাস (মূলত মিথেন) অবশিষ্ট থাকে যা বিক্রির জন্য বা অন্য কোনও স্বার্থে ব্যবহার করা যায় না। সেটাই নিয়ন্ত্রিত উপায়ে পোড়ানো হয়। একে প্রযুক্তির পরিভাষায় গ্যাস ফ্লেয়ারিং বলে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের ‘গ্লোবাল গ্যাস ফ্লেয়ারিং রিডাকশান পার্টনারশিপ’ নামের একটা প্রকল্প রয়েছে। সেই তথ্য বলছে, গত বছরে বাড়তি দাহ্য গ্যাস পুড়িয়ে সারা বিশ্ব জুড়ে মোট ৩৫৭ মিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইড-তুল্য গ্যাস নির্গত হয়েছে। ওই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল ২০৩০ সালের মধ্যে ‘জিরো রুটিন ফ্লেয়ারিং’-এ পৌঁছনো। কিন্তু সেই আশা এখন দেখা যাচ্ছে বিশ বাঁও জলে।