দূষণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনতে হলে বিভিন্ন দেশের সরকারকে করতে হবে বিপুল বিনিয়োগ। পরিবেশ বান্ধব হাইড্রোজেন উৎপাদনের উদ্যোগ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
কী বস্তু এই গ্রিন হাইড্রোজেন? বায়ু বা সৌরশক্তি ব্যবহার করে জলের অণুকে ভেঙে অক্সিজেন আর হাইড্রোজেন তৈরি করা। কার্বন দূষণের দোষ থেকে মুক্ত এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত হাইড্রোজেন জ্বালানী হিসেবে কাজে লাগানো যায়। একেই বলে সবুজ হাইড্রোজেন।
কিন্তু, সম্প্রতি এক গবেষণা হয়ে গেল পটসড্যাম ইন্সটিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চ বা সংক্ষেপে পিক-য়ে। তাতে দেখা যাচ্ছে ২০৩৫ সাল অবধি শক্তির চাহিদার মাত্র এক শতাংশ পূরণ করতে পারবে এই গ্রিন হাইড্রোজেন। যদিও বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের সম্ভাবনাকেই ধরে এই হিসেব করা হয়েছিল। প্রতিবেদনটা বেরিয়েছে নেচার এনার্জি নামের পত্রিকায়।
সাধারণভাবে মিথেনের বাষ্পকে ব্যবহার করে জীবাশ্ম জ্বালানী থেকেই হাইড্রোজেন তৈরি করার রেওয়াজ আছে। যদিও এই পদ্ধতিতে বিপুল পরিমাণ কার্বন দূষণের ভয় থেকে যায়। এই সমস্যা দূর করতে প্যারিস পরিবেশ চুক্তি অনুযায়ী চলতি শতকের মাঝামাঝি ৬০০০ গুণ বেশি গ্রিন হাইড্রোজেন তৈরির প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছিলো। এমনটাই বলছেন মুখ্য গবেষক ফ্যালকো উকার্ডট।