দেশের নাম গ্রীনল্যান্ড অথচ বরফের বৃষ্টি (স্নো-ফল) নেই! বদলে বিজ্ঞানীরা কি দেখলেন? জলের বৃষ্টি! এর আগে কখনও গ্রীনল্যান্ডে হওয়া বৃষ্টিতে জল পড়েনি! গত ১৪ অগস্ট সেই ঘটনা ঘটেছে। ইতিহাসে প্রথমবার! গোটা একটা রাত ধরে বৃষ্টিটা হয়েছে। ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের শিবির জানাচ্ছে, গ্রীনল্যান্ডের তাপমাত্রা এতটা বেড়ে গিয়েছে যেখানে গোটা একটা রাত ধরে বৃষ্টি দেখল মানুষ। শুধু বৃষ্টি নয়, একইসঙ্গে একটা বিশাল হিমশৈলের ৩৩৭ হাজার স্কোয়ার মাইল অঞ্চল জোড়া বরফ গলে গেল! বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও নিশ্চই বুঝতে পারছেন গ্রীনল্যান্ড কীভাবে দ্রুত গরম হচ্ছে। কলোরেডো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নো এবং আইস ডাটা সেন্টারের এক গবেষক টেড স্ক্যামবোস ঘটনাটিকে ‘নজিরবিহীন’ বলছেন এবং তার আরও দুশ্চিন্তা, মানবসভ্যতা কিন্তু বিপদসীমা পেরিয়ে যাচ্ছে! গত জুলাই থেকে প্রত্যেক দিন হিমশৈলের ওপর থেকে ৮.৫ মেট্রিক টন বরফ গলছে। এতে বিশ্ব জুড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা কিন্তু ২০ ফুট বেড়ে যাবে যদি গ্রীনল্যান্ডের হিমশৈলগুলি থেকে এভাবে বরফ গলতে থাকে! কত শহর, কত মানবসভ্যতা জলের তলায় চলে যাবে তার হিসেব বিজ্ঞানীরা এখনও দেননি!