গ্লাসফ্রগের রহস্যটা কী?

গ্লাসফ্রগের রহস্যটা কী?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ৯ এপ্রিল, ২০২৩

গ্লাসফ্রগ – কাচের মতো স্বচ্ছ। মনে হবে দেহের ভেতরকার সবকিছুই বুঝি দেখা যাচ্ছে বাইরে থেকে। কিন্তু এটা হয় কীভাবে? প্রশ্নটা বিজ্ঞানীদের মনে অনেকদিন ধরেই ছিল। এবার উত্তর মিলেছে।
নতুন গবেষণায় গ্লাসফ্রগের এই হঠাৎ গায়েব হয়ে যাওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। দেহের সমস্ত লোহিত রক্ত কণিকা নাকি যকৃতের ভেতর লুকিয়ে ফেলতে পারে এই ব্যাঙ। অ্যামেরিকান মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিষ্ট্রি আর ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মিলিতভাবে অনুসন্ধান চালিয়েছিলেন। গবেষণাপত্র প্রকাশিত হল সায়েন্স পত্রিকায় গত শুক্রবার।
মিউজিয়ামের হারপেটোলজি (সরীসৃপ ও উভচর সংক্রান্ত পড়াশুনো) বিভাগে গবেষণারত জেসি ডেলিয়া বলছেন, সারা বিশ্বে ১৫০-র বেশি গ্লাসফ্রগের প্রজাতি রয়েছে কিন্তু তাদের ব্যাপারে আমাদের জ্ঞান একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে আছে’। শ্রীমতী ডেলিয়া ছিলেন মুখ্য গবেষক।
দুই অ্যামেরিকার নিরক্ষীয় অঞ্চলে গ্লাসফ্রগের দেখা মেলে। এরা রাতচরা। দিনের বেলায় এরা গাছের পাতায় উল্টে ঘুমোয়, তখন তাদের পিঠ আর পাতার রঙ একই থাকে। কিন্তু অদ্ভুত এদের পেট। একেবারে স্বচ্ছ। জলচর প্রাণীদের ক্ষেত্রে শরীর স্বচ্ছ হওয়াটা ব্যতিক্রমি না হলেও, ডাঙার প্রাণীদের এমনটা দেখাই যায় না। কিন্তু গ্লাসফ্রগ আলাদা।
অন্যতম মুখ্য গবেষক, ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্লোস তাবোদা বললেন, এই জাতের ব্যাঙ রক্তের লোহিত কণিকা লুকোতে পারে। এমনকি দিনের বেলাতেও, বেশি তাপমাত্রা থাকলেও। লোহিত কণিকা জমা রাখে যকৃতে। আবার দিনের আলো নিভে গেলে স্বাভাবিক হয়ে যায়।