দক্ষিণ সোমালিয়ার এক এক চাষি। তার নাম হাবিবা ইমান। দক্ষিণ সোমালিয়ার বারধেরে শহরের বাইরের গ্রামের বাসিন্দা। গত দু’বছর ধরে বৃষ্টি নেই দক্ষিণ সোমালিয়ায়। কোনও শষ্য উৎপাদন করা যায়নি। যা প্রাণী ছিল সব মৃত। দক্ষিণ সোমালিয়া থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন পালিয়ে যাওয়ার। গত চার দশকে এরকম ভয়ঙ্কর খরা সোমালিয়া দেখেনি। ৬১ বছরের হাবিবা দেশের অন্তত ১০ হাজার জনের একজন যিনি পালানোর চেষ্টা করছেন বা ইতিমধ্যে নিজের শহর ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সম্মিলিত রাষ্ট্রপুঞ্জের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের অন্তর্ভূক্ত পর্যবেক্ষকদের মতে সোমালিয়ায় গত তিনটি বৃষ্টির মরশুমে একফোঁটাও বৃষ্টি হয়নি। দেশে খাবার নেই। এই এপ্রিলেও যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে ইমানের মত সোমালিয়ার ৪০ লক্ষ মানুষ এবার না খেতে পেয়ে মারা যাবেন। ইমান বলেছেন, “প্রত্যেকদিন শহরে গিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভিক্ষা করি দু’মুঠো খাবারের জন্য। যাতে ছেলে মেয়েরা অন্তত অভূক্ত না থাকে।” ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন আগামী মাসেও যদি একই অবস্থা চলতে থাকে তাহলে দেশের ১৪ লক্ষ শিশু বছরের শেষে চূড়ান্ত অপুষ্টির শিকার হবে।