চির সকাল ও চির অন্ধকার-বহির্বিশ্বে এক নতুন গ্রহের সন্ধান পেল নাসা

চির সকাল ও চির অন্ধকার-বহির্বিশ্বে এক নতুন গ্রহের সন্ধান পেল নাসা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২১ জুলাই, ২০২৪

আমাদের সৌরমণ্ডলের বাইরেও রয়েছে অসংখ্য গ্রহ। জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিভাষায় এদের নাম দেওয়া হয়েছে ‘এক্সোপ্ল্যানেট’। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের কল্যাণে বিজ্ঞানীরা এই গ্রহগুলো খুঁজে বেড়ান অহর্নিশ। নাসা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে আবিষ্কৃত এক্সোপ্ল্যানেটের সংখ্যা প্রায় ৫২৩৫। এমনই এক অদ্ভুত ভিনগ্রহের খোঁজ পেয়েছে নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। নাম দেওয়া হয়েছে ওয়াস্প-৩৯ বি। এক সুবিশাল গ্রহ যার ব্যাস বৃহস্পতির চেয়ে ১.৩ গুণ বেশি, কিন্তু ভর শনি গ্রহের মতোই। গ্রহটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৭০০ আলোকবর্ষ দূরে একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে চলে কিন্তু এক অদ্ভুত নিয়ম মেনে। গ্রহটির নিজস্ব অক্ষের চারপাশে ঘূর্ণনের সময়কাল নক্ষত্রের চারপাশে তার পরিক্রমণের সময়কালের সমান। তার ফলে গ্রহের একটি দিক সর্বদা তার নক্ষত্রের মুখোমুখি থাকে, আর অন্যদিকটি সর্বদা অন্ধকারে আবৃত থাকে। একদিকে তার চির সকাল আর অন্যদিকে চির অন্ধকার। ওয়েব-এর নিয়ার-ইনফ্রারেড স্পেকট্রোগ্রাফ ব্যবহার করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ওয়াস্প-৩৯ বি-র চির সকাল এবং চির অন্ধকারের অংশের মধ্যে তাপমাত্রার পার্থক্য পর্যবেক্ষণ করেছেন। জানা গেছে সন্ধ্যার তাপমাত্রা প্রায় ৩০০ ফারেনহাইট ডিগ্রি বেশি। গ্রহের চির অন্ধকার অংশে তাপমাত্রা প্রায় ১৪৫০ ডিগ্রী ফারেনহাইট এবং চির সকাল অংশটি তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা ১১৫০ ডিগ্রী ফারেনহাইট। অন্যদিকে গ্রহের চির সকালের অংশটি সন্ধ্যার তুলনায় মেঘাচ্ছন্ন থাকে। পূর্বের গবেষণায় জানা গেছে ওয়াস্প-৩৯ বি-র বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড, জলীয় বাষ্প এবং সোডিয়াম আছে। গবেষকদের ইচ্ছা মেঘের আচ্ছাদন কীভাবে তাপমাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে সে বিষয়ে ভবিষ্যতে বিস্তারিত অধ্যয়ন করা তবে ভিনগ্রহের তাপমাত্রার পার্থক্যের জন্য তারা গ্রহের চারপাশে গ্যাস সঞ্চালনকেই দায়ী করেছেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 1 =