চেরনোবিল পারমাণবিক বিস্ফোরণ। ৩৫ বছর আগে, ১৯৮৬-তে বিশ্বের আলোড়ন ফেলে দেওয়া ঘটনাগুলির অন্যতম। সিজিয়াম-১৩৭ ও সেজিয়া-১৩৪ আইসোটোপের উচ্চতর পর্যায়ের ঘনত্ব এই বিস্ফোরণের অন্যতম কারণ বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়ে ছিলেন।
কিন্তু গত ৬ বছর ধরে জার্মানিতে বন্য মাশরুম সংগ্রহের পর বিজ্ঞানীরা দেখছেন মাশরুমগুলি চেরনোবিল বিস্ফোরণের তেজষ্ক্রিয় পদার্থের দ্বারা আক্রান্ত! এখনও, এত বছর পরেও। দক্ষিণ জার্মানির কনজিউমার প্রোটেকশন এবং ফুড সেফটি ফেডারেল অফিসের (বিভিএল) তরফে এই খবর জানানো হয়েছে। বিভিএলের দেওয়া ব্যাখ্যা জানাচ্ছে, জঙ্গলের ইকোসিস্টেমে নিউট্রিয়েন্ট এত মসৃণভাবে রিসাইকেলিং হয় যে চেরনোবিল বিস্ফোরণের তেজষ্ক্রিয় পদার্থের দূষণ মাশরুমকে সহজে প্রভাবিত করে যাচ্ছে।
চেরনোবিল এখন ইউক্রেনের অন্তর্ভূক্ত। চেরনোবিল বিস্ফোরণের পর বাতাসে লক্ষ লক্ষ টন পারমাণবিক বর্জ্য মিশেছিল। ছড়িয়েছিল তেজষ্ক্রিয় পদার্থ। প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন ক্যানসার নামক মারণব্যাধিতে। এখন বিজ্ঞানীদের আবার আশঙ্কা, মাশরুমগুলো চেরনোবিল বিস্ফোরণের তেজষ্ক্রিয় পদার্থে আক্রান্ত হচ্ছে, চেরনোবিল আবার নিঃশব্দে মানুষ মারা শুরু করবে না তো!