অ্যাডিনোসিন ট্রাই ফসফেট, সংক্ষেপে এটিপি। রাতারাতি কোনও মায়াবলে প্রাণের জন্য এতখানি প্রভাবশালী হয়ে ওঠেনি এই অণু। এরও পূর্বসূরি ছিল। নানান বিন্যাস সমবায়ের পর সবচেয়ে সুবিধেজনক হিসেবে উঠে এসেছে এটিপি।
প্লস বায়োলজি পত্রিকায় ইংল্যান্ডের এক গবেষক দল প্রকাশ করেছে তাঁদের গবেষণাপত্র। তাতে প্রাণের মৌলিক উপাদান হিসেবে এটিপির বিবর্তনের নকশা দেখাতে চেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
এমনিতে এই অণু তৈরি করা সহজসাধ্য নয়। কিন্তু ধারণা করা যায় বিবর্তনের ইতিহাসের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়েই তৈরি হয়ে গিয়েছিল এটা, কারণ প্রত্যেক জীবদেহেই এর উপস্থিতি রয়েছে। অ্যাডিনোসিন মনোফসফেট আর ডাইফসফেটে বদলাতে বদলাতে এটিপি অণু শক্তি উৎপাদন করে আর সঞ্চয় করেও রাখতে পারে। এমনকি নিজের সংশ্লেষ নিজেই করতে সক্ষম এই অণু। কিন্তু এর পূর্বসূরি ঠিক কী ছিল? কোন কারণে এতও বেশি পরিমাণে এটিপি রয়ে গেছে? গবেষকদের ধারণা যে এডিপি, লৌহ আর অ্যাসিটাইল ফসফেট নামের এক যৌগের বিক্রিয়ায় প্রাচীন এটিপি তৈরি হয়েছিল।
মুখ্য গবেষক ছিলেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ডঃ সিলভানা পিন্না বলছেন, বিক্রিয়াটা অতিনির্দিষ্ট ছিল – ধাতু হিসেবে লোহা, একটা ফসফেট দাতা আর এডিপি। তিনি আরও জানিয়েছেন, জলের নীচে একটা বিশেষ মৃদু পরিবেশেই প্রাণসৃষ্টির এই প্রাথমিক কাজ ঘটতে শুরু করেছিল।