গাছেরা কথা বলে পরস্পরের সাথে, অথবা যদি বলা হয় জঙ্গল কানে কানে কী বলে ছত্রাককে… এসব নেহাতই কবির কল্পনা বলে উড়িয়ে দেওয়াই যায়। কিন্তু বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখলে এগুলো একেকটা চমৎকার ধারণা। যদিও প্রমাণিত সত্য নয়, তবু ধারণাটা যে জলজ্যান্ত তা নিয়ে সন্দেহ নেই। জঙ্গলের গাছেদের গুপ্তচর যেন স্যাঁতস্যাঁতে মাটিতে গজিয়ে ওঠা ছত্রাকের দল।
মার্কিন মুলুকে টেড লাসো নামের এক টেলিভিশন শো-তে অ্যালবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ জাস্টিন কার্স্ট নাম দিলেন ‘উড-ওয়াইড ওয়েব’। কার্স্ট এবং তাঁর দুজন সহকর্মী নেচার পত্রিকার ইকোলজি অ্যান্ড এভোলিউশান বিভাগে একটা গবেষণাপত্র পেশ করেছেন। তাতে ‘কমন মাইকোরাইজাল নেটওয়ার্ক’-এর ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। মাটির নিচে থাকা এই ছত্রাকের জাল এক গাছের মূল থেকে অন্য গাছের মূলে ছড়িয়ে থাকে। এইভাবে অনেকগুলো গাছের একে অপরের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে সাহায্য করে মাইকোরাইজা।
কার্স্ট এবং তাঁর সহকর্মীরা মনে করছেন অরণ্যের মধ্যে এই ছত্রাকের জালবিন্যাসের নেপথ্যে অন্য ধরণের একটা জোট রয়েছে। এর মাধ্যমে বীজতলার সাথে রসদ ভাগ করে নেয় জন্মদাত্রী গাছ। এমনকি রক্ষাও করে ছোট চারাগাছকে। কার্স্ট আরও বলছেন, একটা জঙ্গলের বিশেষ কিছু গাছের সাথে অন্য জঙ্গলের একই জাতের গাছের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে ভূমিকা রয়েছে ‘কমন মাইকোরাইজাল নেটওয়ার্ক’-এর।