জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে লড়াই করতে গ্রহাণুর সাথে বাঁধা দৈত্যাকার ছাতা

জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে লড়াই করতে গ্রহাণুর সাথে বাঁধা দৈত্যাকার ছাতা

বাছাই করা খবর- ২০২৩
Posted on ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

পৃথিবীতে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে লড়াই করা বিজ্ঞানীদের কাছে এমন একটি ভয়ানক চ্যালেঞ্জ হিসেবে প্রতিপন্ন হচ্ছে যে বিজ্ঞানীরা প্রতিটি বিকল্পকে গুরুত্ব সহকারে দেখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এইরকমই একটি অদ্ভুত সম্ভাবনার কথা বলেছেন ইউনিভার্সিটি অফ হাওয়াই ইন্সটিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোনমির জ্যোতির্বিজ্ঞানী ইস্তভান সাজাপুদি। তিনি কল্পনা করেছেন যদি একটি গ্রহাণুকে পৃথিবীর সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা যায় এবং তার সঙ্গে একটি বিশাল ছাতা বা ঢাল বেঁধে দেওয়া যায় তবে সূর্যের খানিকটা আলো আমরা পৃথিবীতে আসা থেকে রোধ করতে পারি। গবেষকের মতে যদি এই সৌর ঢাল পৃথিবীতে আসা বিকিরণকারী সূর্যালোকের একটি ছোট্টো শতাংশও অবরুদ্ধ করতে পারে তবে তা এই ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার বিরুদ্ধে লড়াই করতে খানিকটা সময় বিজ্ঞানীদের দেবে যে সময়ের মধ্যে তারা অন্য উপায় খুঁজে বের করতে সচেষ্ট হবেন। কিন্তু সমস্যা হল সৌর ঝড়ে বা বিকিরণের চাপের জন্য ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং মহাকর্ষীয় স্থিতিশীলতার জন্য এই ছাতা বা ঢালের নির্দিষ্ট পরিমাণ ভরের প্রয়োজন – এবং মহাকাশে এত পরিমাণ ভর পাওয়া কঠিন ও ব্যয়বহুল হবে।
সাজাপুদির মতে সূর্যের দিকে, L1 Lagrangian স্থানে, একটি কাউন্টারওয়েট স্থাপন করলে ঢালের ওজন এবং কাউন্টারওয়েট মিলিয়ে প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন টন ওজন প্রয়োজন হবে। এই নির্দিষ্ট বিন্দুতে সূর্য এবং পৃথিবীর মহাকর্ষীয় বলের একটি সমতা রয়েছে। আর ঢালের ওজন ৩৫০০০ টন যা ওই ওজনের মাত্র ১%। আমাদের শুধুমাত্র এই ওজনের ঢাল লাগবে বাকি ভর আসবে গ্রহাণু থেকে। যদি গ্রাফিনের মতো উন্নত, হালকা উপকরণ ঢালের জন্য ব্যবহার করা যায় তাহলে ঢালের ভর আরও কমানো যেতে পারে। সাজাপুদি মনে করেন যে যদি এখনই গবেষণা এবং উন্নয়নের কাজ শুরু করা যায় তবে এটি শীঘ্রই বাস্তবায়িত করা যাবে এবং এটি গণনা করা হয়েছে যে সূর্যের আলোর প্রায় ১ থেকে ২ শতাংশ অবরুদ্ধ করলে পৃথিবী শীতল হবে। গবেষণাটি প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সে প্রকাশিত হয়েছে।