দাঁত মাজার ব্রাশ, স্নানের তোয়ালে থেকে চুল আঁচড়ানোর চিরুনি— পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে সব ক্ষেত্রেই। তবুও সংক্রমণের ভয় থেকেই যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বাথরুমে শাওয়ার হেড এবং টুথব্রাশে অসংখ্য অজানা ভাইরাসের খোঁজ পেয়েছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন এর মধ্যে বেশ কিছু অণুজীব বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন। তবে তারা এও জানিয়েছেন আমাদের রোজকার ব্যবহার্য জিনিসে ভাইরাসের উপস্থিতি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য সবসময় খারাপ নয়। ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং ভাইরাসের মতো জীবাণু আমাদের আশপাশের পরিবেশেই বাস করে। আমাদের আশপাশের জিনিসগুলো আমরা যতই পরিষ্কার করি, তারা আবার কিলবিল করে সেগুলোতে ফিরে আসে। এই কারণেই দাঁতের ডাক্তাররা নিয়মিত নিজেদের ব্যবহার করা টুথব্রাশ পালটে ফেলার পরামর্শ দেন। জীবাণু নিয়ন্ত্রণ করতে বাথরুমও পরিষ্কার করতে বলেন নিয়মিত। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অণুজীবের সংস্পর্শে আমাদের প্রতিনিয়ত আস্তেই হয় তাই, আমরা সাধারণত কোন নির্দিষ্ট জীবাণুর সম্মুখীন হয়ে থাকি তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। যদিও আমরা জানি যে প্রায় প্রতিটি পৃষ্ঠে ব্যাকটেরিয়া লুকিয়ে রয়েছে তবে পৃষ্ঠে আঁকড়ে থাকা ভাইরাস সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের মধ্যেও তেমন ধারণা নেই। মাইক্রোবায়োলজিস্ট এরিকা হার্টম্যান বলেন এমন অনেক ভাইরাস রয়েছে যাদের সম্পর্কে খুব কমই তথ্য রয়েছে এবং অনেকগুলো আবার আগে কখনো দেখাও যায়নি। আমাদের বাড়ির ভিতরের পরিবেশে, টেবিল বা দেয়ালের পৃষ্ঠে জীবাণুদের পক্ষে বেঁচে থাকা সত্যিই কঠিন। জীবাণুরা স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ পছন্দ করে, যেমন শাওয়ারের মাথা বা টুথব্রাশের ব্রিসলস। টুথব্রাশে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়াদের বেশিরভাগ আমাদের মুখের ভিতরেই পাওয়া যায়। তবে শাওয়ার হেডে দেখতে পাওয়া ব্যাকটেরিয়া মূলত পরিবেশ থেকে আসে এবং কিছু শহরের জলে থাকা পরিচিত প্যাথোজেন। গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এমন অনেক ব্যাকটিরিওফেজ শনাক্ত করেছেন, যা ব্যাকটেরিয়া কোশ সংক্রামিত করে এবং তাদের মধ্যে প্রতিলিপি তৈরি করে। তারা দেখেন শাওয়ার হেডের তুলনায় টুথব্রাশে ভাইরাসের বৈচিত্র্য অনেক বেশি। বর্তমান গবেষণায় এও জানা গেছে যদি এই জীবাণু বৃদ্ধি পায় তবে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।