ঠিক কীভাবে আমরা শুনতে পাই?

ঠিক কীভাবে আমরা শুনতে পাই?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

একেবারে বুনিয়াদি আণবিক ব্যবস্থাটা কেমন? যে প্রক্রিয়ায় আমার আওয়াজ শুনতে পাই, বিজ্ঞানীদের কাছে এতদিন সেটা ছিল একটা ধাঁধা। শেষমেশ পোর্টল্যান্ডের ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক আবিষ্কার করলেন একটা রহস্যময় প্রোটিন মিশ্রণ যা কানের অনেকটা গভীরে থেকে আমাদের শুনতে সাহায্য করে।
যদিও কাঠখড় পোড়াতে হল বিস্তর। স্পর্শ অনুভব করতে একইরকম প্রোটিন ব্যবহার করে কেনোরহ্যাবিটিডিস এলিগ্যান্স নামক একটা গোলকৃমি। ৬০ মিলিয়ন গোলকৃমি উৎপাদন করতে হয়েছিল গবেষকদের। মুখ্য গবেষক সারা ক্লার্ক বলছেন, কয়েক বছর সময় লেগেছে গোলকৃমির বৃদ্ধিতে আর প্রোটিন আলাদা করে চিহ্নিত করতে। আগে বিজ্ঞানীরা জানতেন, ট্রান্সমেমব্রেন চ্যানেল-লাইক প্রোটিন-১ বা সংক্ষেপে টিএমসি-১ শ্রবণক্ষমতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। কিন্তু ঠিক কোন পদ্ধতিতে এটা কাজ করে সেটা জানা ছিল না।
কিন্তু কয়েক দশকের এই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে নতুন গবেষণা। প্রকাশিত হয়েছে নেচার পত্রিকায়। ঐ বিশেষ প্রোটিন চাপ আর টানের তারতম্যের ব্যাপারে খুবই সংবেদনশীল। অন্তঃকর্ণে সূক্ষ্ম রোমের নড়াচড়ার ফলে ঐ চ্যানেল প্রোটিন খোলে বা বন্ধ হয়। টিম্প্যানিক মেমব্রেন বা কানের পর্দায় শব্দতরঙ্গ ধাক্কা খেলে নড়ে ওঠে অসিকেল নামের ছোট্ট হাড়। অসিকেল থেকে তরঙ্গ তারপর যায় স্টিরিওসিলায়। এই আণুবীক্ষণিক স্টিরিওসিলা যে কোষে প্রোথিত থাকে, সেখানেই টিএমসি-১ প্রোটিনের উপস্থিতি। যা খোলা আর বন্ধ হওয়ার মাধ্যমে বৈদ্যুতিক সংকেত পাঠায় অডিটরি স্নায়ুতে। তারপর শব্দ শনাক্ত করে মস্তিষ্ক।