কোভিড-১৯-এর ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের প্রসারে আশঙ্কিত এবং বিপর্যস্ত পৃথিবীর বেশ কিছু দেশ। আমেরিকা যার মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে। হাসপাতালের বিছানা আবার কোভিড-১৯ এর রোগীতে ভর্তি হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা নানারকমের গবেষণা অরে চলেছেন, ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টকে প্রতিরোধ করতে পারবে এরকম টীকা তৈরি করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে প্যারিসের পাস্তুর ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে আরও একটি তথ্য। ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের উৎসস্থল বাদুড়! লাওসের উত্তরের একটি গুহা থেকে ৬টি বাদুড় পরিবারের প্রায় ৬৪৫টি বাদুড়কে ধরে গবেষণাগারে নিয়ে গিয়ে তাদের মুখের লালা, মল, মুত্র এবং রক্তের পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই পরীক্ষার পরই বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ, কোভিড-১৯-এর ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের সঙ্গে খুব মিল আছে এরকম ভাইরাস ওই বাদুড়দের শরীরেও পাওয়া গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, একই ভাইরাস ভিয়েতনাম, চিনেরও ন্যাশনাল পার্কের বাদুড়দের শরীরে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই দেশগুলোর ন্যাশনাল পার্কে কাজ করা অসংখ্য বন দফতরের কর্মীদের শরীরে ডেল্টার প্রবেশ বাদুড়দের মাধ্যমে ঢোকার সম্ভাবনা প্রবল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) আবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোভিড-১৯ উৎস খুঁজে বার করার। কীভাবে, কোন দেশ থেকে এল এই মারণ ভাইরাস? ২০ জন বিজ্ঞানীদের একটা দল তৈরি করা হয়েছে। দলে রয়েছেন নানা বিভাগের বিশেষজ্ঞ। তারা তদন্ত করবেন খুঁজে বার করার জন্য। তাৎপর্যের বিষয়, হু-এর ঘোষণার ঠিক আগেই, হু-আর চিন যৌথভাবে তদন্ত করেছিল একই বিষয় নিয়ে। তাতে হু সার্টিফিকেট দিয়েছে চিনকে যে, কোভিড-১৯-এর ভাইরাসের উৎসস্থল কোনওভাবেই উহানের কোনও গবেষণাগার নয়!